ভোটে বামেদের ভরাডুবির দেড় সপ্তাহের মাথায় দল ছাড়লেন শিলিগুড়ির দুই বাম নেতা ও একাধিকবারের পুর কাউন্সিলর। দুজনেই যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বুধবার শিলিগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলার সমতলের অফিসে প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব ও জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারের উপস্থিতিতে ওই দুজন যোগ দেন। তাঁরা হলেন, সিপিএমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিকবারের কাউন্সিলর কমল আগরওয়াল ও আরএসপি নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো। তৃণমূলের তরফে দুজনকেই স্বাগত জানানো হয়।
সম্প্রতি গৌতমবাবু ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভায় পরাজিত হয়েছেন। তার পরে তাঁকে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান করেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, গৌতমবাবুকে সামনে রেখে আগামী দিনে শিলিগুড়ি পুরসভা দখল করতে ছক কষেছে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষাপটে বামেদের দুজন দীর্ঘদিনের কাউন্সিলরকে দলে টানাও রাজনৈতিক কৌশলেরই অঙ্গ। বিশেষত, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেত্রী তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর জ্যোৎস্না আগরওয়াল বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি অতীতে কমলবাবুর কাছেই হেরেছেন। সে দিক থেকে দেখলে কমলবাবু নবিজের ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ানো নিশ্চিত করে ফেলার চেষ্টা করলেন।
আরও পড়ুন-আতঙ্কে পালালো করোনায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা, সৎকারের দায়িত্ব নিলেন তৃণমূল নেতা
রামভজনবাবু মহানন্দা লাগোয়া গুরুংবস্তি এলাকার বাসিন্দা। সেখানকার কাউন্সিলর ছিলেন। তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যোগাযোগ রাখছিলেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি। রামভজনবাবুও আগামী দিনে তৃণমূলের বোর্ড গঠন হলে ফের ডেপুটি মেয়র হওয়ার দিকে এক পা এগিয়ে থাকলেন বলেও তাঁর একান্ত ঘনিষ্ঠদের কয়েকজনের দাবি। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার জানান, বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী কেউ ভোটে হারের পরে দাল ছাড়েন না। তবে যাঁরা ক্ষমতার লোভে দল করেন, রাজনীতিতে থাকতে চান তাঁরা দল বদলাবদলি করে থাকেন। জীবেশবাবু জানান, আগামী দিনে শিলিগুড়ির মানুষই শেষ কথা বলবেন।








































































































































