মুখ বন্ধ রেখে চাপের খেলা বেশিক্ষণ চালানো গেল না। অবশেষে মুকুল রায়কে মুখ খুলতেই হলো। আর সেটা দলের নির্দেশে ‘বাধ্য’ সৈনিকের মতো।
বিধায়কদের শপথের দিন থেকে শোনা যাচ্ছিল, মুকুল আবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। সেই সম্ভাবনা উস্কে দিয়ে পরিষদীয় দলের বৈঠকে থাকেননি। এমনকী জল্পনা বাড়াতে তৃণমূল নেতা ও তাঁরবেক সময়ের সহকর্মী সুব্রত বক্সির সঙ্গে আলাদা দু’চার কথা বলেন। জল্পনা বাড়াতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হেঁয়ালি বাড়িয়ে বলেন, এখন কিছু বলবেন না। যা বলার পরে বলবেন। ফলে বিধায়ক হিসাবে জিতেই দলবদলের প্রশ্ন ওঠায় অস্বস্তি বাড়ে বিজেপির অন্দরমহলে। বিবৃতি দিতে চাপ বাড়তে থাকে। শেষে শনিবার দুপুরে মুকুল কার্যত ট্যুইট করতে বাধ্য হলেন। লিখলেন, ‘বাংলায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিজেপির একজন সৈনিক হিসাবে আমার লড়াই চলবে। আমি চাই আমার অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথা বন্ধ হোক। সকলে জেনে রাখুন, আমি আমার রাজনৈতিক লক্ষ্যে অনড়।’

মুকুল রায় গত বছরও একবার তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথাও এগোয়। কিন্তু বিজেপি তাঁকে সর্বভারতীয় সহ সভপতির পদ দিতেই তৃণমূলে ফেরার সেতু বন্ধন বন্ধ করে দেন। এবার বিধায়ক হওয়ার পর আবার সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে শাসক দলের অন্দরমহলের খবর।
অন্যদিকে বিজেপির অন্দরমহলের খবর, আসলে শুভেন্দুর বিরোধী দলনেতার পদ আটকাতে এটা মুকুলের চাল। আলোচনায় তিনি না থাকায় বর্ষীয়ান মুকুল অস্বস্তি ও অপমানিত বোধ করেন। সেই প্রক্রিয়ায় নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করতেই এই চাল। শেষে দলের চাপেই ট্যুইট।

https://www.youtube.com/watch?v=-LcyBvNfc08&feature=youtu.be





























































































































