এই প্রথম বাংলার বিধানসভায় একজনও বাম প্রতিনিধি নেই? ব্যতিক্রমী এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য…
আপনার হার, বামেরা নিশ্চিহ্ন। কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
অশোক : এটা রাজনৈতিক বিপর্যয়। মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত ছিলাম না। এটা একক বিষয় নয়। মানুষ আমাদের রাজনীতি নেননি। পার্টিতে কাটাছেঁড়া করে নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে। পরাজয়ে ভেঙে পড়লে তো চলবে না…
বিধানসভায় এই প্রথম কোনও প্রতিনিধি নেই। ভোট নামল ২.৫% -এরও নিচে…
অশোক : ভোটের রাজনীতিতে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ইস্যু তো এল না। এলো ধর্মীয় বিভাজনের ইস্যু, জাতপাতের ইস্যু। এক পক্ষ আর এক পক্ষকে ভয় দেখিয়েছে। অন্যপক্ষ সংঘবদ্ধ হয়ে গেল। পার্টি এসব নিয়ে আলোচনা করবে।
এক সময় প্রচার যন্ত্র বলছিল, তৃণমূল বোধহয় গেল। সেই জায়গা থেকে এই ফল!
অশোক : আমি মুক্তকণ্ঠে বলব, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব। দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে রোজ বোমা ফেলছেন। আর মমতা তার বিরুদ্ধে লড়ছেন। আমরা পারিনি, কিন্তু বিজেপিকে যে পশ্চিমবঙ্গে ঠেকানো গেল, তার সব কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পার্টি কী ভাবছে জানি না, আমি অন্তত আমি তাই মনে করি।
আরও পড়ুন-ভোটে ভরাডুবির পর কী বললেন দিলীপ ঘোষ? অভিজিৎ ঘোষের সঙ্গে EXCLUSIVE দিলীপ ঘোষ
বহিরাগত ইস্যু বোধহয় কাজ করেছে…
অশোক : ১৯৮৭ সালে বাংলার ভোটে প্রচারে এসে রাজীব গান্ধী বারবার বলতেন, ‘বাসুজির বয়স হয়েছে, উনি রিটায়ার করুন।’ আর বসু বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি রিটায়ার করব, তবে ওনাকে রিটায়ার করিয়ে।’ আসলে এসব সময়ে বাঙালির মনের মধ্যে একটা সেন্টিমেন্ট কাজ করে যায়। বাংলা এইখানে অন্যরকম। বাংলার মানুষ তাই এই ‘সোনার বঙ্গাল’ বক্তাদের বোধহয় মানুষ ভালভাবে নেননি।
এবার তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখেও সিপিএমের কোনও লাভ হলো না…
অশোক : হ্যাঁ এবার চেষ্টা করেছিলাম। এবার সফল না হলেও পরে এর ফল পেতে পারি।
শূন্য থেকে শুরু এবার কীভাবে করবেন?
অশোক : আমাদের বয়স হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে।





































































































































