ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে(corona situation) ৮ দফার নির্বাচন ও প্রচার নিয়ে শুরুতেই কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই ইস্যুতেই নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট(Madras High Court)। কড়া সুরে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়(Sanjiv Banerjee) জানিয়ে দিলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য একমাত্র দায়ী নির্বাচন কমিশন(election commission)। সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ২ মে ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এটাও জানিয়ে দেন দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হওয়া উচিত।
ভারতে করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্তের মাঝেই নির্বাচনী প্রচার ও বিপুল জনসমাগম করোনার প্রকোপকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতির মাঝে সম্প্রতি আদালতে দায়ের হওয়া এক মামলার পর্যবেক্ষণে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য একমাত্র দায়ী নির্বাচন কমিশন। কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হওয়া উচিত।” এখানেই না থেমে আদালতের তরফে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, “ভোট প্রচার যখন চলছিল, তখন আপনারা কি অন্য গ্রহে ছিলেন! আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কোভিড প্রোটোকল নিশ্চিত করতে পারেনি।” পাশাপাশি কড়া সুরে আদালত জানিয়ে দেয়, “গণনার দিন কোভিড প্রোটোকল মানা নিয়ে কমিশন কী ভাবছে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানাতে হবে আদালতকে। সঠিক পরিকল্পনা না হলে আগামী ২ মে ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়া হবে।” স্বাভাবিক ভাবেই মাদ্রাজ হাইকোর্টের এহেন কড়া হুঁশিয়ারিতে চাপে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন:ভোটের মুখে সরানো হল বীরভূমের ২ ওসি সহ ৩ পুলিশ অফিসারকে
উল্লেখ্য, দেশে বাড়তে থাকে করোনা পরিস্থিতির মাঝে বঙ্গে ৮ দফা নির্বাচন ও প্রচার নিয়ে শুরু থেকেই কমিশনের বিরুদ্ধে সরব ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির মাঝে ভিন রাজ্য থেকে কোনও রকম টেস্ট ছাড়া ভোট উপলক্ষে প্রচুর মানুষ বাংলায় ঢুকছেন। এই পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। অবিলম্বে কমিশনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষা ছাড়া যে সমস্ত আধাসেনা রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে তাদের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। গুরুতর এই পরিস্থিতির মাঝে এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।








































































































































