“মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবে, এমন সরকার হওয়া উচিত। কিন্তু আজকের রাজনীতি অনেক আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এ রাজনীতি বড্ড জটিল। তাই দিদি যদি আমাকে এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে বলতেন, আমি হতাম না। আমি খাপ খাওয়াতে পারছি না, বুঝেই উঠতে পারছি না এটা কিসের নির্বাচন?” বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী সপ্তর্ষী বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে গিয়ে এমনটাই বললেন সাংসদ তথা অভিনেতা দেব।
ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী বলেন, “আমার মনে হয় না, নিজেকে বড় করতে গেলে কখনও কাউকে ছোট করার প্রযোজন হয়। আমি মনে করি, আমরা আমাদের কিছু কাজের কথা বলব। বিরোধী দল তাদের কিছু কাজের কথা বলবে। এরপর পছন্দ মতো প্রার্থী মানুষ বেছে নেবে। গত দশ বছরে দিদি অনেক প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। কীভাবে বাংলার মানুষ ভালো থাকতে পারে, সেই লক্ষ্যেই দিদি বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। যেমন দিদি চেয়েছেন বাংলার সকল ছেলেমেয়ে, বিশেষ করে গরিব পরিবারের সন্তানরা পড়াশোনার সুযোগ পাক। গত দশ বছরে সেই কাজ করে এসেছেন দিদি।
আরও পড়ুন-করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের
দেবের কথায়, “বিরোধী বন্ধুরা লকডাউনের সময়ে কোথায় ছিলেন, যখন লাখ লাখ মানুষ পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন? শ্রমিকেরা খাবার পাচ্ছিলেন না? তখন সত্যই গরিব মানুষ পাশে দাঁড়ানোর কথা। সেই সময়ে ওইসব সুরক্ষা দেওয়া কথা বলা, ভোটপাখি নেতারা কোথায় ছিলেন?” দেবের মতে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। “ভোট নেওয়ার জন্য হিন্দু নেতারা হিন্দুদেরকে বলছে আপনারা সুরক্ষিত নন, আপনারা আমাদেরকে ভোট দিন, আমরা আপনাদের সুরক্ষিত রাখব। মুসলমানদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। আমার মাথায় আসছে না, তবে কে সুরক্ষিত আছে এই দেশে? হিন্দু-মুসলমান দু’পক্ষই যদি বলেন, কেউ সুরক্ষিত নন, তাহলে কারা সুরক্ষিত? ভাবুন! আসলে আমাদের দেশে সুরক্ষিত সেই নেতারা, যাঁরা সবাইকে বোকা বানিয়ে ভোট নিয়ে যান। হিন্দু-মুসলিম লড়াই বাঁধান।”






































































































































