সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে শনিবার জওয়ান-মাওবাদী সংঘর্ষে এক কোবরা কমান্ডোকে অপহরণ করেছে মাওবাদীরা। ছত্তিশগড়ে শনিবারের হামলায় ২২ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। বস্তারের আইজিপি পি সুন্দররাজ রবিবারের একটি বিবৃ্তিতে জানিয়েছিলেন, রাকেশ্বর সিং মানহাস নামে এক কোবরা জওয়ান নিখোঁজ। জম্মুর বাসিন্দা ওই জওয়ানকে মাওবাদীরা অপহরণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। ওই জওয়ানকে মুক্তি দিতে রাজি মাওবাদীরা। তবে সেই প্রক্রিয়া হবে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে। সরকারে মেনে নিতে হবে তাঁদের শর্ত। বিজাপুর সংঘর্ষের পাঁচদিন পর সরকারি বিবৃতি দিল মাওবাদীরা।
মানহসের ঘরভর্তি শোকার্ত পরিজনদের ভিড়। বাড়ির সদস্যরা তার ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। এরইমধ্যে মানহসের মেয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বলেছে, “পাপার পরী পাপাকে খুব মিস্ করছে। আমি পাপাকে খুব ভালবাসি। প্লিজ নকশাল আঙ্কল, আমার পাপাকে ঘরে পাঠিয়ে দাও।”
আরও পড়ুন-ভয়াবহ পরিস্থিতি দেশজুড়ে! ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৬
কেন্দ্রকে দেওয়া মাওবাদীদের বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন,তাদের লড়াই নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু তাদের উপর আঘাত এলে, তারাও পালটা আঘাত হানবে। তাই পরিসংখ্যান তুলে দাবি করা হয়েছে, গত চার মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন মাওবাদী। মাওবাদীদের বিবৃতিতে দাবি, ‘আমাদের বিরুদ্ধে বন্দুক নিয়ে আক্রমণ হলে, আমরাও তৈরি আছি। কারণ, আমাদের রাষ্ট্র বিরোধিতা জারি থাকবে।’
আটক জওয়ানের মুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীদের নাম জানাক সরকার। ছত্তিশগড় সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়েছে মাওবাদী সংগঠন। তারা জানিয়েছে, ঘটনার দিন এক সিআরপিএফ জওয়ানকে আটক করে তারা। ওই জওয়ান নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মাওবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই জওয়ান সুরক্ষিত আছেন। ঘটনার ৪ দিন পর মাওবাদীদের পক্ষ থেকে নিহতদের সংখ্যা জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলাও। তাদের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করেছেন মুখাপাত্র বিকল্প। ওই বিবৃতিতে মৃতদের নাম এবং ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের নাম নুপো সুরেশ, কাওয়াসি বাদরু, পদম লখমা, মানদভি সুক্ক। মৃত মহিলার নাম ওডি সানি।








































































































































