হার হোক বা জিত! আপাতত বাকি ৬ দফায় শরীরী ভাষা ঠিক রাখতে হবে। সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার ২০০ পারের স্লোগান তুলে রাজ্যে হুঙ্কার দিয়ে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। শুক্রবার কোচবিহারের শীতলকুচি ময়দানে পা দেখে কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহিত রাখার চেষ্টায় কোন খামতি রাখলেন না অমিত শাহ। কোনরকম হতাশার ছাপ যাতে কর্মী-সমর্থকদের উপরে না এসে পড়ে তার জন্য গলার স্বর যতটা সম্ভব উপরে তুলে জানিয়ে দিলেন প্রথম দু’দফায় ৫০ টি আসন জিততে চলেছে বিজেপি। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফার ভোটে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, নন্দীগ্রাম থেকে দিদি হারছে শুভেন্দু জিতছে।
শুক্রবার নন্দীগ্রামের জনসভা উপস্থিত হয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘কাল প্রমাণ হয়ে গেছে নন্দীগ্রামে দিদি হারছেন।’ এরপর সুর চড়িয়ে তিনি আরো বলেন, ‘ওনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আর কোথা থেকে লড়বেন। উনি বলেছেন উত্তর বাংলা ছাড়া অন্য যে কোনও জায়গা থেকে।’ অবশ্য গেরুয়া কর্মীদের উদ্দীপ্ত করতে শুধু অমিত শাহ নন বৃহস্পতিবার একই দাবি করেছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। তবে বিজেপিকে হারাবার সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। জানানো হয় নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতছেন এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিজেপির হার যে নিশ্চিত তা বুঝতে পেরে আগামী নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে এই ধরনের মিথ্যা প্রচার করছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য কোন আসন থেকে লড়াই করছেন না।
আরও পড়ুন:উত্তর থেকে দক্ষিণ হেভিওয়েট প্রচারে মমতা-অমিত-অভিষেক
অন্যদিকে এদিন শীতলকুচির মাঠে দাঁড়িয়ে একের পর এক প্রতিশ্রুতি ঝড় তোলেন অমিত শাহ। জানিয়ে দেন, ‘ক্ষমতায় এলে প্রতিবছর ২ হাজার কোটি টাকা উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে দেওয়া হবে। নারায়ণী সেনার স্মৃতি রক্ষার্থে রাজবংশীদের নিয়ে নতুন ব্যাটেলিয়ন হবে।’ পাশাপাশি তিনি আরো জানান, ‘উত্তরবঙ্গে একটি চা-পার্ক তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার স্মারক তৈরি হবে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে তৈরি হবে এইমস্-এর ধাঁচে হাসপাতাল। মহিলাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হবে।’








































































































































