দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে সিবিআইয়ের (cbi)জালে ধরা দিল কয়লা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালা (lala)ওরফে অনুপ মাজি। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫০ নাগাদ নিজাম প্যালেসে আসেন লালা। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকায় সিবিআই এখনই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না। তবে শীর্ষ আদালত শর্ত রেখেছে লালাকে তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে তদন্তে সব রকমের সহায়তা করতে হবে। সিবিআই অফিসাররাও লালাকে জেরার জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।



গত ২৭ নভেম্বর কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিবিআই। তারপর থেকে লালাকে তিনবার নোটিস পাঠায় সিবিআই। কিন্তু প্রতিবারই এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে ধরতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। জারি করা হয় লুকআউট নোটিসও। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুতেই। এরইমধ্যে গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে জানায়, ৬ এপ্রিল পর্যন্ত লালাকে গ্রেফতার করা যাবে না।

কয়লাকাণ্ডের মূলচক্রী লালাকে এতদিন ধরা না গেলেও লালা-ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে সিবিআই। তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় মিশ্রকে ধরতে দেশজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে ইডি বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে জেরা করেই ইডি জানতে পেরেছে, কয়লাপাচারের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী অনুপ মাজি ওরফে লালার ব্যবসার পরিমান প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার। এরমধ্যে প্রভাবশালীদের পিছনেই ৭৩০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। জেরায় জানা গিয়েছে, এই ৭৩০ কোটি টাকা প্রভাবশালীদের হয়ে নিয়েছিল পলাতক অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্র ও তার ভাই বিকাশ মিশ্র।





































































































































