নন্দীগ্রামে নিজের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনই বিরুলিয়া বাজারে মারাত্মক চোট পান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই মমতার বক্তব্য ছিল, এই কাণ্ডে চক্রান্ত রয়েছে। চার পাঁচজন ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যে দু’দফায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও জানিয়েছে তৃণমূল। গতকাল বৃহস্পতিবার একদফা অভিযোগ জানানোর পর শুক্রবারও কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। এদিন দিল্লিতে তৃণমূলের ৬ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল গিয়ে সরাসরি কমিশনের অফিসে অভিযোগ জানান। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পর সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘মমতার উপর ষড়যন্ত্র করে হামলা করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’ এর আগে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েই গুরুতর প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্যের শাসক দল৷ যদিও তৃণমূল নেতৃত্বকে পাল্টা কড়া চিঠি দিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে করা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। 


রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, বুধবার নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না৷ এমনকী প্রশ্ন তোলা হয়, রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে বদলের
পরেই কেন এমন ঘটনা ঘটল? একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ’দের সম্প্রতি করা নানা বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। যদিও বিজেপিও ঘটনার পর থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে।
এদিকে শুক্রবার জনৈক সুরজিৎ সাহা নামে এক সমাজকর্মী হাইকোর্টে আবেদন করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। কিন্তু তা ঘটনা ঘটলো তা যথেষ্টই রহস্যজনক। সেক্ষেত্রে সিবিআইয়ের সাহায্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
যদিও এই জনস্বার্থ মামলার সঙ্গে বিজেপির কোনও সংযোগ রয়েছে কিনা, তা নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক মহলেএই নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। বিজেপির দাবি ছিল, ওখানে ‘হামলার’ কোনও ঘটনাই ঘটেনি, ‘নাটক’ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সিবিআই তদন্ত হোক।





































































































































