নির্বাচনী ময়দানে রবিবাসরীয় ব্রিগেড জমিয়ে দিতে আজ মহাজোটের “অটুট বন্ধন” তৈরির মহাবৈঠক

0
2

রাত পোহালেই বামেদের ব্রিগেড (Briged) সমাবেশ (Rally)। নামে বামেদের (Left Front) হলেও রবিবাসরীয় এই ব্রিগেড মূলত বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) উপলক্ষে বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল (TMC) বিরোধী মহাজোট (Mohajot) শিবিরের বৃহৎ সমাবেশ। উদ্যোক্তাদের দাবি, বাম, কংগ্রেস (Congress) ও আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddique) আইএসএফের (ISF) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে এই সমাবেশ। যেখানে সহযোগী দলগুলিও থাকবে। জন সমাগমের নিরিখে এই ব্রিগেড ঐতিহাসিক চেহারা নেবে বলেই দাবি উদ্যোক্তাদের।

এদিকে, আসন সমঝোতার নিয়ে জোটের জট না কাটলেও ব্রিগেড নিয়ে অন্তত নরম মনোভাব দেখাচ্ছে সব পক্ষ। বামেদের ব্রিগেডের মঞ্চে এবার অন্যতম বক্তা হিসেবে হাজির হবেন বলে নিজেই ঘোষণা করেছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। ফলে উদ্যোক্তারা আরও উৎসাহী হয়েছে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই সমাবেশের মঞ্চ থেকে মহাজোটের নেতৃত্ব রাজ্যে বিকল্প সরকার গঠনের ডাক দেবে। সমাবেশকে সব দিক দিয়ে সফল করার জন্য প্রচার ও প্রস্তুতিতেও কোনও খামতি রাখছে না যৌথ নেতৃত্ব।

তবে আসন ফয়সালা নিয়ে মহাজোটের অন্দরের জট এখন পর্যন্ত কাটেনি। মূলত কংগ্রেস ও আব্বাসের দল আইএসএফের মধ্যে দর কষাকষির জোট নিয়ে জটিলতা জিইয়ে রেখেছে। আজ, শনিবার কলকাতায় এসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এই জট খোলার প্রয়াস নেবেন বলে জানিয়েছেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা।

আজ বিকেলে অধীর শুরুতে সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। প্রয়োজনে মুখোমুখি হবেন আইএসএফ নেতাদেরও। তবে অধীররা আব্বাসের দলের সঙ্গে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিমের কোনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমঝোতা হচ্ছে কি না তার উপর নির্ভর করছে পুরোটা। মিমের সঙ্গে এই ধরনের কোনও সম্পর্ক থাকলে কংগ্রেস তাদের নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি সিপিএম নেতৃত্বকে। সিপিএমও মিমকে নিয়ে জোটে যেতে চায় না বলেই জানিয়েছেন মহম্মদ সেলিম। যদিও আব্বাসের তরফে এখনও মিমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কিছু খোলসা করা হয়নি।

বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোট করার ব্যাপারে আইএসএফ অত্যন্ত আগ্রহী। বামেরা ৩০টি আসন দেওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আরও ৪-৫টি আসন চাওয়া হয়েছে বামেদের কাছে। পাশাপাশি কংগ্রেসের কাছে ২৫-৩০টি আসন চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে এনিয়ে ফয়সালা করার ব্যাপারে আইএসএফ অত্যন্ত আশাবাদী। ফলে সব মিলিয়ে আজ, যদি আলোচনার মাধ্যমে মহাজোট অটুট বন্ধন তৈরি করে ফেলে, তাহলে রবিবারের ব্রিগেড নির্বাচনী ময়দানে বাড়তি তাৎপর্যপূর্ণ বহন করবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

আরও পড়ুন:পামেলা কাণ্ডে নয়া মোড়: এতো কোকেন আগে মেলেনি, ভিন রাজ্যে তল্লাশি গোয়েন্দাদের

Advt