নিমতিতা স্টেশনে মন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ১ বাংলাদেশি নাগরিককে । ধৃতের নাম শেখ নাসিম। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগে থেকেই স্টেশন চত্বরে তিনি ঘোরাঘুরি করছিলেন। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ঘোরাঘুরির নামে আসলে স্টেশন চত্বরের নিরাপত্তা মেপে নিচ্ছিলেন নাসিম। তাঁকে জেরা করছে সিআইডি। কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।
জানা গিয়েছে, নিমতিতা স্টেশনের বাইরে হকারি করতেন নাসিম। সেই সূত্রে স্টেশনের আঁটঘাট জানা ছিল তাঁর। তবে তিনি একা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন কি না, তা নিয়ে ধন্দে গোয়েন্দারা। আর যদিও বা ঘটিয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে স্থানীয় লোকজন তো দূর, রেল পুলিশের নজর এড়িয়ে প্ল্যাটফর্মের উপর তিনি বোমাভর্তি ব্যাগ কী ভাবে রেখে এলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। জেরায় পুলিশকে নাসিম কী বয়ান দেয়, সে দিকেই এখন নজর সকলের। জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে আজ বুধবারই সাংবাদিক বৈঠক করবেন সিআইডি-র আধিকারিকরা।
নিমতিতাকাণ্ডে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের যোগের সম্ভাবনা উঠে এসেছিল। তারইমধ্যে সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় এক বাংলাদেশিকে আটক করা হল। সরকারিভাবে নাসিমকে এখনও গ্রেফতার দেখায়নি সিআইডি। আপাতত নিজেদের হেফাজতে রেখে তাকে ম্যারাথন জেরা চালাচ্ছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে , মঙ্গলবার গভীর রাতে নাসিম নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্টেশনে অবাধ প্রবেশের অনুমতি থাকায়, স্টেশনে কেমন নিরাপত্তা আছে, সে বিষয়ে তার কাছে স্পষ্ট ধারণাও থাকার কথা আছে। স্বভাবতই নাসিমের পক্ষে স্টেশনে নজরদারি চালানোর বিষয়টি একেবারেই কঠিন ছিল না।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনের দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে মন্ত্রীর উপর বোমা হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হন রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। জাকিরের বাঁ পা এবং ডান হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। আপাতত কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। বিস্ফোরণে আহত হন মন্ত্রীর দেহরক্ষী-সহ আরও কয়েকজন।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যান্টি হ্যান্ডিং ডিভাইস। এই ধরনের আধুনিক বিস্ফোরক সাধারণত ব্যবহার করে থাকে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত–উল–মুজাহিদিন (জেএমবি) বা অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। তার ফলে জঙ্গি–যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তদন্তকারীরা।




































































































































