একের পর এক বিতর্কিত রায় দিয়ে গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন বোম্বে হাইকোর্টের(Bombay High Court) বিচারপতি পুষ্পা গণেরিওয়ালা(Pushpa ganeriwala)। তাঁর সেই রায়ের জেরে গোটা দেশে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হওয়ার পর পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিল শীর্ষ আদালত। বোম্বে হাইকোর্টের ওই মহিলা বিচারপতির বিতর্কিত রায়ের জেরেই এবার তাঁকে ১৫০ কনডোম পাঠালেন গুজরাটের(Gujarat) আহমেদাবাদে শহরের দেবশ্রী ত্রিবেদী নামে এক মহিলা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সম্প্রতি ১২ বছর বয়সী এক নাবালিকার যৌন হেনস্থার মামলায় বোম্বে হাইকোর্টের ওই বিচারপতি জানিয়েছিলেন, পোশাক পরিহিত অবস্থায় নাবালিকার স্তন স্পর্শ করা এবং শিশুর হাত ধরে তার প্যান্টের চেন খোলা কখনোই পকসো আইনের আওতায় পড়ে না। তার এহেন রায়ের জেরে সারাদেশে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এই রায়ের প্রেক্ষিতেই গুজরাটের আহমেদাবাদে এর বাসিন্দা দেবশ্রী ত্রিবেদী ওই বিচারপতির ঠিকানায় ১৫০ প্যাকেট কনডোম পাঠান। তার এহেন কর্মকান্ডের যুক্তিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বিচারপতি পুষ্পার দাবি অনুযায়ী, যদি ত্বক স্পর্শ হয় তাহলে তা যৌন নির্যাতন নয়। আমি ওনাকে কনডোম পাঠিয়ে এটা বলেছি যে এই জিনিসের ব্যবহারে ত্বকের স্পর্শ হয় না, তাহলে এটাকে কী বলা যাবে? দেবশ্রী আরো বলেন আমি কনডোমের সঙ্গে একটি চিঠি লিখেছি ওই বিচারপতিকে। এবং ওনার রায়ের তীব্র বিরোধিতা করেছি। পাশাপাশি অবিলম্বে ওনাকে বরখাস্তের দাবি জানাচ্ছি।
যদিও দেবশ্রীর এহেন কাণ্ডের জেরে তাকে আইনি জটিলতার মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নাগপুর বেঞ্চের অফিসে এখনো পর্যন্ত এই ধরনের কোনো প্যাকেট এসে পৌঁছয়নি বলে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:এবারে বাংলাকে রক্ষা করার লড়াই, মাঠে-ময়দানে বুক চিতিয়ে লড়ব: অভিষেক
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি গনেরিওয়ালা তাঁর রায়ে বলেছিলেন, ১২ বছরের কোনও শিশুর জামাকাপড় খুলে বা জামাকাপড়ের ভিতরে হাত গলিয়ে বুক বা গোপনাঙ্গ স্পর্শ না করা হলে, তা শিশুদের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ (পকসো) আইনের আইনের আওতায় পড়বে না। আইনের ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে গনেড়িওয়ালা বলেন, ‘‘ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সরাসরি স্পর্শ না ঘটলে পকসো আইনে অভিযোগ আনা যাবে না।’’ এই ব্যাখ্যার উপর ভিত্তি করেই অভিযুক্তকে দণ্ডাদেশ কমিয়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ওই বিচারপতি। যদিও সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি।তার আগে, ১৫ জানুয়ারি শিশুদের যৌন নির্যাতনের সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে গিয়ে গনেরিওয়ালা বলেন, ‘‘কোনও নাবালিকা মেয়ের হাত ধরে টানা এবং একই সঙ্গে সেই সময় প্রকাশ্যে প্যান্টের জিপ খুললে তা যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী যৌন নির্যাতন হিসাবে গণ্য হবে না।’’





































































































































