দেশজুড়ে বিভিন্ন সংশোধনাগারে যতজন বন্দি আছে, তাদের মধ্যে ২৭.৩৭ শতাংশই নিরক্ষর। তবে পাঁচ হাজারেরও বেশি বন্দির টেকনিক্যাল ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি সংসদে জেলবন্দিদের বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করেন। ২০১৯-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো যে তথ্য পেশ করেছে, তার ভিত্তিতেই এই পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পেশ করা তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ভারতের সংশোধনাগারগুলিতে বন্দির সংখ্যা ৪,৭৮,৬০০ জন। তাদের মধ্যে ১,৩২,৭২৯ জন নিরক্ষর। ৫,৬৭৭ জনের ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা আছে। মোট বন্দির ৪১.৫৫ শতাংশের বা ১,৯৮,৮৭২ জনের দশম শ্রেণি বা তার কম পর্যন্ত পড়াশোনা রয়েছে। ২১.৫২ শতাংশ বন্দির পড়াশোনা দশম শ্রেণির বেশি কিন্তু স্নাতক স্তরের কম পর্যন্ত। মোট বন্দির মাত্র ৬.৩১ শতাংশ বা ৩০,২০১ জন স্নাতক। মাত্র ১.৬৮ শতাংশ বা ৮,০৮৫ জনের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আছে। মাত্র ১.১৮ শতাংশ বা ৫,৬৭৭ জনের টেকনিক্যাল ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে পেশ করা তথ্য থেকে আরও জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের অপরাধ ও জেলবন্দিদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। ফলে ২০১৭ পর্যন্ত এরাজ্যের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের জেলবন্দিদের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দেশের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশে জেলবন্দির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। উত্তরপ্রদেশের জেলগুলিতে বন্দির সংখ্যা ১,০১,২৯৭। এই রাজ্যে জেলবন্দিদের মধ্যে নিরক্ষরের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। উত্তরপ্রদেশের সংশোধনাগার গুলিতে নিরক্ষর বন্দির সংখ্যা ৩১,৯২৭। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া বন্দির সংখ্যা ৩৬,৩৯০। দশম শ্রেণির বেশি পড়া কিন্তু স্নাতক স্তরের কম পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে ২১,২৬৯ জন বন্দির। স্নাতক ৮,১৫১ জন বন্দি এবং স্নাতকোত্তর ২,৬৩৫ জন বন্দি। টেকনিক্যাল ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা রয়েছে ৯২৫ জন বন্দির।






































































































































