সংগঠনের রদবদল নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্য বিজেপিকে(BJP)। অভিযোগ উঠেছে সভাপতির অনুমতি ছাড়াই গঠন করে দেওয়া হয়েছে কমিটি। পরে অবশ্য সেই কমিটিকে বাতিল করে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। তবে এই ধরনের সমস্যার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য এবার কড়া বিবৃতি দেওয়া হল বিজেপির রাজ্য সদর দফতর মুরলিধর সেন লেন থেকে। এদিন রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে রাজ্য সংগঠনের যেকোনও রদবদল বা ছোট বড় সিদ্ধান্তে শেষ কথা বলবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অনুমতি ছাড়া কোনওরকম রদবদল করা যাবে না কোনও সংগঠনে। তবে শুধু দিলীপ ঘোষ নয় এই একই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে(Amitabh Chakraborty)।
শুক্রবার মুরলীধর সেন লেন থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বলা হয়েছে, সংগঠনের সকল জেলা সভাপতিদের জানানো হচ্ছে জেলা কমিটি, মণ্ডল সভাপতি, মণ্ডল কমিটি-সহ যে কোনও স্তরে রদবদলের জন্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর অনুমতি সাপেক্ষে করতে হবে। রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি পেশ করার পর স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে।
আরও পড়ুন:‘পদ্মাসন’ই চূড়ান্ত ? বিজেপির আমন্ত্রণ পেয়ে কৃতজ্ঞ দীনেশ ত্রিবেদি
অবশ্য এই নির্দেশিকার কারণ হিসেবে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির অন্দরে একাধিক ব্যক্তিকে পদ থেকে সরানোর ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একাধিক জেলা সভাপতি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজেদের ঘনিষ্ঠ লোকজন এনে বসাচ্ছেন। আর সেটা হচ্ছে রাজ্য সভাপতির অগোচরে। নির্বাচন পূর্বে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক বেড়েছে বিজেপি অন্দরে। নানান জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।





































































































































