শেষ হলো ‘বইমেলা ২০২১’। উত্তর কলকাতার হৃষিকেশ পার্কে শেষ দিনেও উপচে পড়লো ভিড়।সম্বর্ধনায় আপ্লুত প্রকাশকরা।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও ছিল চাঁদের হাট । ছিলেন শিক্ষাবিদ এবং অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর সমিত রায়,চিন্তাবিদ ও উদ্যোগপতি সমর নাগ, অভিনেতা পরিচালক রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত,স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য,স্বপ্নময় চক্রবর্তী,হিমাদ্রিশেখর দাসগুপ্ত,বিধায়িকা স্মিতা বক্সী প্রমুখ ।
আগামী বছর থেকে বইমেলার নতুন নামকরণ হলো ‘মহানগর বইমেলা’। লোগো প্রকাশ করেন বিশিষ্টরা। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে পরবর্তী বইমেলা হবে ২৫শে ডিসেম্বর থেকে পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত। সভা মঞ্চ থেকে দাবি ওঠে হৃষিকেশ পার্কের বইমেলা দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত অন্য বইমেলা কমিটিও অনুসরণ করুক। কী সেই সিদ্ধান্ত? এই বইমেলা কমিটি প্রকাশকদের বিনামূল্যে স্টল প্রদান করেছে এবং সব বইতে ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সেই কারণে এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও ২০ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। দাবি উঠেছে গিল্ডের বইমেলাতেও এই সুযোগ এবং ছাড় দেওয়া হোক। যে গিল্ড কর্তারা এই বইমেলা সফল হওয়া নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, তারাও এই বইমেলাকে নিয়ে নিজেদের উচ্ছ্বাস চেপে রাখেন নি। এমনকি এই ছোট্ট পার্ক আদৌ বইমেলা করার উপযুক্ত নয় বলে তারা মন্তব্য করেছিলেন । কিন্তু এখানে উপস্থিত হয়ে তাদের সেই ধারণা বদলে যায় । বরং গিল্ড বুধবারই ঘোষণা করেছে যোধপুর পার্কে এবার তারা বইমেলা করবে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী বঙ্গীয় প্রকাশক সমন্বয় কমিটির দেখানো পথেই শেষ পর্যন্ত হাঁটলো গিল্ড ।
শেষদিনেও সারাদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,ক্যুইজ ইত্যাদিতে মাতোয়ারা ছিলো বইমেলা মঞ্চ। শেষ মুহূর্তে বইয়ের গন্ধ আষ্টেপৃষ্ঠে নিতে বইপ্রেমীদের ভিড় উপচে পড়েছিল।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.