দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির অধীন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিলির ব্যাপারে অত্যন্ত তৎপর প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমানে কোথাও বাড়ি গিয়ে, কোথাও একেবারে হাসপাতালে পৌঁছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সোমবার গলসি (Galsi) ২-এর বিডিও বর্ধমান (Bardhawan) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর পরিজনের হাতে কার্ড দিয়ে যান। গুসকরায় এক অসুস্থ ব্যাক্তির বাড়িতে কার্ড পৌঁছে দেন পুরসভার কর্মীরা।

সোমবার সকালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন গলসি বেনেপুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা সুলেখা আঁকুড়ে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শরীরের নানা জায়গায় ব্যথা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। তাঁর স্বামী সমীরকুমার আঁকুড়ে জানান, আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Helth Card) প্রয়োজন পড়ে। তাই স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরেই যোগাযোগ করেন ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে। বিডিও সঞ্জীব সেন (Sanjib Sen) বর্ধমান হাসপাতালে গিয়ে ওই রোগীর ছবি তুলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির ব্যবস্থা করেন। সেই কার্ড ও মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা রোগীর বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেন তিনি। বিডিও বলেন, সমস্যায় পড়া মানুষজনকে পরিষেবা দিতে পেরে তিনি খুশি।
পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংহতিপল্লিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের শিবিরে হাজির হতে পারেননি বছর তিরিশের নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই তাঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়। তিনি শয্যাশায়ী। গুসকরা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য কুশল মুখোপাধ্যায় (Kushal Mukharjee) বলেন, এই খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
প্ত্যেক প্রশাসনিক সভা থেকেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গুলি রাজ্যবাসীর কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। সেই কারণেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু করেছেন তিনি। সরকারি আধিকারিকরা সেই নির্দেশ মেনে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন


































































































































