এ যেন এক রূপকথার গল্প। এক সোনার জাদুকাঠির স্পর্সে জীবন পাল্টে যাওয়ার মতন। তবে এই সোনার জাদুকাঠির স্পর্সের পাশাপাশি আছে কঠর পরিশ্রমও। যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন মহম্মদ সিরাজ ( mohammad siraj)। অভিষেক টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ( Australia ) বিরুদ্ধে দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। তবে রাতারাতি আসেনি এই সাফল্য। এই সাফল্যের পিছনে ছিল সাধনা এবং কঠোর অনুশীলন।

এই মুহূর্তে সংবাদ শিরোনামে থাকলেও ছোটবেলা খুবই কষ্টে কেটেছে সিরাজের। বাবা পেশায় ছিলেন অটো চালক। সারাদিনে যা রোজগার হত, তা দিয়ে দু বেলা দু মুঠো খাবারও জোগার করতে হিমশিম খেতেন মহম্মদ ঘউস।
সারা রাত অটো চালিয়ে ছেলেকে একটি জুতো কিনে দিয়েছিলেন মহম্মদ ঘউস। সেই জুতো পড়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দাপট দেখালেন মহম্মদ সিরাজ। তাই তো ম্যাচ শেষে আবেগে ভাসলেন ভারতীয় দলের এই বোলার। তাঁর এই সাফল্য দেখতে পারলেন না মহম্মদ ঘউস। চলতি বছর প্রয়াত হন সিরাজের বাবা মহম্মদ ঘউস। সেই সময় অস্ট্রেলিয়া সফরে ছিলেন সিরাজ। দেশের হয়ে খেলার জন্য বাবার শেষ কাজে যোগ দেননি তিনি। বক্সিং ডে টেস্টে অজিদের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে সিরাজ। বলছেন ” বাবা হয়তো খুশি আমার এই প্যারফমেন্সে।”
আরও পড়ুন:এখনই সিডনি উড়ে যাচ্ছেন না রাহানে, পেনরা



































































































































