মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন মেগা পদযাত্রা করলেন বোলপুরে (Bolpur?, একই দিনে নন্দীগ্রামে একটি অরাজনৈতিক রোড শো এবং সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। আর বোলপুরের (Bolpur) সভা থেকেই নাম না করে কার্যত শুভেন্দু-সহ দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “টাকা দিয়ে বিজেপি (Bjp) পচা-ধচা বিধায়ক কিনছে”।
আরও পড়ুন – বিশ্বভারতীতে ঘৃণ্য রাজনীতির আমদানি, বহিরাগত দেখলেই নালিশ করুন: মমতা
দু’দিনের সফরে সোমবার বীরভূম গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রোড শো ও জামবুনিতে সভা। পূর্বসূচি অনুযায়ী এদিন প্রায় ৪ কিলোমিটার পদযাত্রা শেষে জামবুনিতে জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখান থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি।

একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যে দলবদলের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বোলপুরের সভা থেকে সেই প্রসঙ্গেই মুখ খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূল নেতাদের দলত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপি টাকা দিয়ে তৃণমূলের পচা-ধচা বিধায়কদের কিনছে। ওতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কর্মীরাই আসল সম্পদ।” গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেই বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
একুশের আগে এই ভাঙন তৃণমূলের উপর ঠিক কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু দলত্যাগীদের বিষয়ে প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকশিবির। দলনেত্রীও একই দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি টাকা দিয়ে নেতা এবং ভোট দুটোই কিনতে চাইছে। তিনি বলেন, “গরিব মানুষ বিজেপির টাকা নিয়ে নিন আর ভোটের বাক্সে ওদের বিদায় করুন”। আত্মবিশ্বাসী মমতা বলেন, “২১ আমাদের গর্ব, ’২১ আমাদের পথ দেখাবে”।






























































































































