কমবে সমস্যা। সুবিধা হবে যাত্রীদের। আজ, সোমবার থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনে বাড়ছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা। এতদিন শিয়ালদহ উত্তর ও দক্ষিণ শাখায় দিনে ৬৫৪ টি লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছিল। এবার আরও বাড়ানো হল লোকাল ট্রেনের সংখ্যা। চালু করা হল ২০৬ টি লোকাল। এছাড়াও চালু হচ্ছে ১২ টি লেডিজ স্পেশ্যাল ট্রেনও।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর থেকে রাজ্যে রেল পরিষেবা শুরুর পর শিয়ালদহ ডিভিশনে ধাপে ধাপে বেড়েছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা। ভিড় সামাল দিতে সকাল-সন্ধের অফিস টাইমে ১০০ শতাংশ ট্রেন চালানো হত। শুধুমাত্র দুপুর এবং রাতের দিকে ট্রেনের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। এবার সেই সংখ্যাটাই বাড়াল রেল। শিয়ালদহের দুই শাখা মিলিয়ে সোমবার থেকে দৈনিক ৮৬০ টি ট্রেন চলবে।
ওয়াকিবহল মহলের বক্তব্য, লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর সংক্রমণ কীভাবে বৃদ্ধি পায়, তা নিয়ে মূলত উদ্বেগ ছিল। কিন্তু গত ৪০ দিনে বাংলায় সংক্রমণের হার খুব বেশি বাড়েনি। পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কমছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
পরিষেবা বাড়ানো হয়েছে শিয়ালদহ উত্তরের লালগোলা, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বারাকপুর, নৈহাটি, বনগাঁ, বারাসত, হাসনাবাদ-সহ সব শাখায়। একইভাবে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, বারুইপুর, ক্যানিং, সোনারপুর, বজবজ-সহ সকল শাখায় লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়েছে রেল। ‘লেডিজ স্পেশ্যাল’ ট্রেনগুলিও আগের সময় মতোই চালানো হবে।
রেল সূত্রের খবর, শীতের মরসুমে প্রতি বছর উৎসব ও অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের ট্রেনে যাতায়াতের প্রবণতা বাড়ে। তাই ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষশেষ ও বর্ষবরণের উৎসবের জন্য বাড়তি ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করতে হয় রেলকে। চলতি বছরে অতিমারির প্রভাবে উৎসব কাটছাঁট করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঠিকই। তবু যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়বে বলেই মনে করছেন কর্তারা।
আরও পড়ুন-কয়লা পাচারকাণ্ড: লালাকে আজ বিকেলের মধ্যে হাজিরার চরম সময়সীমা বেঁধে দিল CBI






























































































































