এবার রাজ্য বিজেপি (BJP) সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে (Sayantan Basu) ঘিরে ধরে বিক্ষোভ-স্লোগান। যার জেরে ওল্ড মালদহের (Maldah) ধানহাটি পালপাড়ায় সায়ন্তন বসুর চায়ে পে চর্চা কর্মসূচি ঘিরে তুমুল উত্তেজনা শুরু হয়। একই জায়গায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) পালটা কর্মসূচি নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে যায়। বড়সড় গোলমালের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ।
যদিও শেষ পর্যন্ত বড় কোনও গোলমাল হয়নি। তবে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে ঘিরে তৃণমূলের কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। পরে সায়ন্তন-সহ বিজেপির অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা ওই এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান।
বিজেপির অভিযোগ, সায়ন্তন বসুর কর্মসূচি বানচাল করার জন্য তৃণমূল ওই এলাকায় জমায়েত করেছিল। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, পূর্বঘোষণা কর্মসূচি অনুযায়ী তারা পার্টির কাজ করছিলেন। সেখানে সায়ন্তন বসু আসবেন সেটা তাঁরা জানতেন না। আর যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল সেটা বিজেপির অন্তর্কলহ বলেই দাবি তৃণমূলের।
উল্লেখ্য, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করে আসছে, বিজেপি বাংলায় উত্তর প্রদেশের হিংসার রাজনীতি আমদানি করছে। এবার শাসকদলের সেই অভিযোগেই যেন সিলমোহর দিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। বেফাঁস উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। কার্যত প্রকাশ্যে খুনের ”হুমকি” দিলেন বিজেপি নেতা। বাংলায় উত্তরপ্রদেশ (UttarPradesh) মডেল চালু করবেন।
একইসঙ্গে জেল থেকে বের হওয়ার পর গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মারা হবে! একটি জনসভা থেকে গতকাল এমনটাই হুমকি দিলেন সায়ন্তন।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সভামঞ্চ থেকে রাজ্য সায়ন্তন বসুর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি ছিল, “বিজেপি কর্মীদের উপর যাঁরা আক্রমণ করছেন, তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধরবে, তারপর জেল হবে। আর জেল থেকে বেরনোর পর গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টে মারা যাবেন তাঁরা।”
আরও পড়ুন-একুশের ভোটে লড়বে মিম, ওয়েসির সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন রাজ্যের নেতা জামিরুল