বিতর্কিত কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক সংক্রান্ত নতুন তিন আইন ইস্যুতে বিধানসভার অধিবেশন (Assemblysession) ডাকার দাবি তুলেছে এ রাজ্যের কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা৷ কং-বাম(Congress-left) বিধায়কদের দাবি, অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে রাজ্যে পাল্টা আইন তৈরি করতে হবে৷ তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে অধিবেশন না ডাকলে দলীয় বিধায়করা নবান্নে(Nabanna) ধর্নায় (Dharna) বসবেন।
মোদি সরকারের কৃষি ও কৃষক সংক্রান্ত ৩ আইন বাতিলের দাবিতে বিজেপি-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল সরব হয়েছে। এই ইস্যুতে দিল্লি লাগোয়া এলাকায় গত দু’সপ্তাহ ধরে ঐতিহাসিক ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু রাজ্যের দুই বিরোধী শিবির বাম ও কংগ্রেস এই ইস্যুতে অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে রাজ্যে পাল্টা আইন তৈরির দাবিতে সুর চড়িয়েছে৷ এ বিষয়ে তারা একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু সাড়া পাননি৷ তাই এবার বিরোধী দলনেতা
আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বাম-কং জোটের অবস্থান ঘোষণা করে বলেছেন, কৃষি আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বিরোধিতার সুর কিন্তু সেগুলি রাজ্যে লাগু না-করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে তিনি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আমরা মনে করি, আইনগুলির বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব এবং বিকল্প আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্য পাল্টা আইনি হাতিয়ার তৈরি করেছে। অথচ বাংলা চুপ করে আছে। মান্নান-সুজন বলেছেন, তৃণমূল সরকার ২০১৪ ও ২০১৭ সালে কৃষি বিপণন আইনে যে সংশোধনী এনেছে তাতে কর্পোরেটদেরই লাভ হয়েছে। মোদি সরকারের আইনেরই সমার্থক সেই পদক্ষেপ। এই দ্বিচারিতার কারণেই কি মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা আইন তৈরির পথে যেতে সাহস দেখাচ্ছেন না?
কং-বামের হুঁশিয়ারি, এমাসের মধ্যে অধিবেশন না ডাকলে জোটের বিধায়করা নবান্নে ধর্নাতেই বসবেন।
আরও পড়ুন-বিক্ষোভের আশঙ্কায় এবার মতুয়া-এলাকায় যাচ্ছেন না অমিত শাহ






























































































































