একদিকে রাজ্যজুড়ে যখন “প্রধান” বিরোধী বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ও শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, সন্ত্রাস, ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ঝাঁজ বাড়িয়েছে, ঠিক তখনই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মানব কল্যাণমূলক প্রকল্প ও উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তৎপরতা দেখাচ্ছে তৃণমূল। “দুয়ারে সরকার”-এর পর এবার ”বঙ্গধ্বনি যাত্রা” কর্মসূচি নিয়ে পথে নামল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়করা। লক্ষ্য, মমতা সরকারের ১০ বছরের কাজের খতিয়ান বা রিপোর্ট কার্ড গৃহস্থের বাড়ি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া। গতকাল তৃণমূল ভবনে এই কর্মসূচির উদ্বোধনের পর আজ, শুক্রবার রাজ্যের ২৯৪টি ”বঙ্গধ্বনি যাত্রা” করলেন নেতা-মন্ত্রীরা।

এদিন শহরের বেহালা, চেতলায়, রাসবিহারী, বালিগঞ্জে, কসবাতে রোড শো করলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, জাভেদ খানরা। এই রোড-শো গুলির সর্বত্র কার্যত জনজোয়ারের চেহারা নিয়েছিল।
আরও পড়ুন:নাড্ডার ঘটনায় তৃণমূলকে নজিরবিহীন আক্রমণ দিলীপের
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বেহালা পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় হুডখোলা জিপে চেপে রোড-শো করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পা-এ হেঁটেই রোড-শো করলেন চেতলায়। শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় হাঁটলেন রাজবিহারী এলাকায়। অন্যদিকে, পরনে বোরখা। মুখে জননেত্রীর মুখোশ। হাতে শঙ্খ। সম্প্রীতির শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে কসবায় বঙ্গধ্বনি যাত্রা করলেন জাভেদ খান। যেখানে চাইনিজ প্ল্যাকার্ড চাইনিজ স্লোগানে যাত্রায় সামিল ছিলেন কলকাতার চিনা নাগরিকরাও। উত্তরবঙ্গে জনজোয়ারে ভেসে কর্মসূচি পালন করলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী গৌতম দেব ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।


































































































































