প্রত্যয়ী অভিষেক। আরামবাগের সভায় ঘোষণা করলেন ২০২১-এ ২২৫ টা আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগের বৃহস্পতিবার সভার শুরুতেই তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি বলেন, এই সভায় জনসমাগম চমকপ্রদ। “দেখে মনে হচ্ছে তৃণমূল বিধানসভা নির্বাচন জয় করে ফেলেছে। তারপর এখানে এসেছি”। অভিষেক জানান, তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে ২০১৬-র নির্বাচনের আগে বিরোধীরা বিভিন্ন রকমের কুৎসা করেছিল। কিন্তু ২০১১-র থেকেও বেশি আসন নিয়ে ফিরে এসেছে তারা। ২০২১-এ নির্বাচনে আরো বাড়াবে তাদের আসন। রাজ্যে ২২৫টি আসন পাবে তৃণমূল।
বিরোধীদল সিপিআইএম এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, সিপিআইএমের হার্মাদরাই এখন জল্লাদ হয়েছে। সিপিআইএম বিজেপিকে ধরে এগোতে চাইছে। আর বিজেপি ভাবছে সিপিআইএমকে সামনে রেখে নির্বাচনে জিতবে। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদের আটকাতে সক্ষম তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে হিংসার রাজনীতি করতে চাইছে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু কেউ যদি মনে করে বাংলায় সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনবে তাহলে মানুষই তা রুখে দেবে। তিনি বলেন, এখন থেকেই ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। সে কারণে তৃণমূলের উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে, বাধা দিচ্ছে দুয়ারে সরকারে প্রকল্প কর্মসূচিতেও। কিন্তু একুশের ভোটে হুগলিতে বিজেপি শূন্য পাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে ফিরবেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচনে লড়াই নিশ্চয়ই হবে, তবে সেটা পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে। তিনি বলেন, সারা দেশে যত রাজ্য আছে তার কোনও মুখ্যমন্ত্রী রিপোর্ট প্রকাশ করার সাহস দেখাতে পারেননি। সেটা করে দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার, রাজ্যের মন্ত্রীরা তাঁদের রিপোর্ট পেশ করেছেন। সেই কার্ড তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেটা দেখিয়ে তিনি বলেন, যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নিজেদের সাত বছরের রিপোর্ট প্রকাশ করে দেখাক।
যে দেশ ভক্তি নিয়ে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করায় বিজেপি, এদিন তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ থাকেন অভিষেক। তিনি বলেন, আমাদের ভূখণ্ড দখল করে বসে আছে। অথচ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বসে আছে। লোক দেখানো রাজনীতি করছে বিজেপি- অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, “সকালে কলাপাতায় খাচ্ছে বিজেপি নেতারা আর রাতে ডিনার করছে। মানুষ এই দ্বিচারিতা ধরে ফেলেছে”।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতটুকু বদলাননি। কালীঘাটের বাড়িতেই তিনি এখনও থাকেন। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তিনি। অথচ তাঁকে সরানোর জন্য বিরোধীরা উঠে পড়ে লেগেছে। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার অভিষেক বলেন, নোটবন্দি করে মানুষের হয়রানি করেছে মোদি সরকার।
ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে নাড্ডা মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লকডাউনের সময় বিজেপি নেতারা মানুষের পাশে এসে দাঁড়াননি। সেই ক্ষোভের ফলেই এ দিন জেপি নাড্ডার কনভয়ে বাইরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ।































































































































