সাধন-পরেশ দ্বৈরথ এবার নতুন মাত্রা পেল। মন্ত্রী সাধন পান্ডে-কন্যা শ্রেয়া বিধায়ক পরেশ পালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকতে চলেছেন। শ্রেয়ার স্পষ্ট কথা, দু’জন রাজনীতিবিদের মধ্যে লড়াই হচ্ছে, হোক। কিন্তু দুজনের ঝগড়ার মধ্যে তাঁকে টেনে এনে যেভাবে অসংসদীয়, কুরুচিকর, নোংরা শব্দ ব্যবহার করে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তাতে তিনি অসম্মানিতবোধ করছেন। তাই মানহানির মামলার পথেই হাঁটছেন। শ্রেয়ার মন্তব্য, একজন নির্বাচিত বিধায়ক তথা জনপ্রতিনিধি যে ভাষায় কথা বলেছেন, সেখান থেকেই বোঝা যায় তাঁর রুচি, কৃষ্টি, সংস্কৃতি।

ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে ও বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালের লড়াই উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে সর্বজনবিদিত। সুযোগ পেলেই একজন অন্যজনকে আক্রমণ করেন। পরেশের আক্রমণের ভাষা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রুচির সীমা লঙ্ঘন করে বলে অভিযোগ। এই কারণে দলের মহাসচিব সাম্প্রতিক অতীতে সমঝে চলার নির্দেশও দেন। যদিও দলীয় নেতৃত্বকে তোয়াক্কা না করার মনোভাব পরেশের আচরণে স্পষ্ট৷ ফলে পরেশের আচরণে দলের একটি মহল ব্যাপক অসন্তুষ্ট। এই অবস্থায় বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে সাধন-পরেশ দ্বৈরথ চরম মাত্রা পায়। সেখানেই একে অন্যকে আক্রমণ করতে গিয়ে পরেশ মাত্রা হারিয়ে শ্রেয়াকে আক্রমণ করে বসেন। পরেশের দিক থেকে প্রচার করা হচ্ছে শ্রেয়াকে ইডির তলবের বিষয় নিয়ে। পাল্টা শ্রেয়া ঘনিষ্ঠ মহলে বলছেন, ইডি শ্রেয়াকে ডেকে কার কার সম্বন্ধে খবর নিয়েছে, সেটা শ্রেয়া বলে দিলে তো দলেরই অস্বস্তি বাড়বে। পরেশ পাল সেই কাজটা করতে বারবার কেন প্ররোচিত করছেন? কেন দলকে অস্বস্তিতে ফেলার ‘চেষ্টা’ চালিয়ে যাচ্ছেন!
আরও পড়ুন:ইস্তফার পর রবিবারই মহিষাদলে প্রথম জনসভা শুভেন্দু’র, জল্পনা, কী বলবেন তিনি!
সাধন-কন্যার বক্তব্য, তাঁর চরিত্র হনন করা হচ্ছে। ব্যক্তি হিসাবে তিনি অপমানিত হয়ে এবার মানহানির মামলার পথেই যাচ্ছেন।


































































































































