বেশ কয়েকদিন ধরেই দলের সঙ্গে তৈরি হয়েছিল দূরত্ব। ফেসবুকে জানিয়ে ছিলেন তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান। বারবার দলের নেতা-মন্ত্রী এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক। দলের তরফে মানভঞ্জনের চেষ্টা করা হলেও, বরফ গলেনি। এরই মধ্যে শুক্রবার দুপুরে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দিল্লি যান কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

আরও পড়ুন : নিশীথের সঙ্গে দিল্লি গেলেন মিহির গোস্বামী
গত ৩ অক্টোবর তৃণমূলের সমস্ত দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেও, তখন প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ করেননি মিহিরবাবু। শুক্রবার বিজেপির কোচবিহারের সাংসদের সঙ্গে দিল্লিতে পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও ইস্তফা করার কথা ঘোষণা করলেন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

এদিন বিকেলে ফেসবুকে পোস্টে তিনি লিখেছেন, ” গত ১০ বছর একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে জেলায় দলের মধ্যে বারবার অবহেলিত – অপমানিত হয়েছি। দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে নীরব প্রচ্ছন্ন মদত যুগিয়ে গিয়েছেন। দলনেত্রীকে সেসব কথা বারংবার জানিয়েও পরিস্থিতি ইতরবিশেষ হয়নি। আজ সব সহ্যের সীমা অতিক্রম করার পরও দেখছি নেত্রীর একই রকম আশ্চর্য নীরবতা পালন করছেন। সম্ভবত তিরস্কার ও বহিষ্কারের ক্ষমতাও তাঁর লুপ্ত হয়েছে। দলের চালকের সিটে তিনি আর নেই। আজ এই তৃণমূল দলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিলাম। ”


তবে দলনেত্রী নির্দেশ না দেওয়া অবধি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না বলে জানিয়েছেন মিহির বাবু। তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ করার পর তাঁর বিজেপিতে যোগদান সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।



































































































































