করোনার সঙ্গে লড়তে অর্থের প্রয়োজন। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ফের বকেয়া মেটানোর দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার, করোনা পরিস্থতি নিয়ে ৮ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রথম পর্যায়ের বৈঠকে জিএসটি-সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে রাজ্যের বকেয়া প্রসঙ্গ তুললেন মমতা। এই নিয়ে আগেও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কেন্দ্র বকেয়া টাকা দিচ্ছে না। জিএসটি বাবদ রাজ্য কেন্দ্রের কাছ ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পায়। কিন্তু সেটা দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে রাজ্য ৪০০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। কিন্তু কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে মাত্র ১৯৩ কোটি টাকা। একইসঙ্গে জনস্বাস্থ্য সচেতনতায় রাজনৈতিক দলগুলির মিছিলের উপর রাশ টানা জরুরি বলেও প্রধানমন্ত্রীকে জানান মমতা।
বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সুস্থতার হার বেড়েছে। কেন্দ্রের সঙ্গে সংযোগ রেখে টিকাকরণ শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। এদিন করোনা পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিন নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বললেন মমতা। জেলা সফরে বাঁকুড়ায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন, বাঁকুড়ার সার্কিট হাউজ থেকেই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন মমতা। ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্যসচিব।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে করোনার ভ্যাকসিনের আশায় বসে আছে। টিকাকরণ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বাংলা। প্রশিক্ষিত দক্ষ ব্যক্তি ও পরিকাঠামোও রয়েছে। যত দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, তত তাড়াতাড়িই কাজ শুরু করে দেবে বাংলা। যাতে সবাই দ্রুত ভ্যাকসিন পায়, তা নিশ্চিত করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, উৎসব ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে। মৃত্যুর হার কমেছে। বেড়েছে সুস্থতার হার। করোনা মোকাবিলায় ভালো কাজ করেছে বাংলা।
আরও পড়ুন : এবার কালিম্পঙে রাজ্যপালের প্রেস কনফারেন্স নিয়ে জল্পনা



































































































































