পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে জেলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন লালু প্রসাদ যাদব। তবে জেলবন্দি অবস্থায় তার বেশিরভাগ সময়ই কেটে গিয়েছে হাসপাতাল বন্দি হয়ে। এরপর করোনা পরিস্থিতির কারণে ঝাড়খণ্ড সরকারের উদ্যোগে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (রিমস) এর ডাইরেক্টের নিজস্ব বাংলোয় রাখা হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবকে। নামে জেলবন্দি হলেও এই বাংলোয় বহাল তবিয়তে দিন কাটছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর সেই বিলাসবহুল জীবন যাত্রার ভিডিও সম্প্রতি ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। এরপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ঠিক জেল বলতে যেটিকে বোঝায় বর্তমানে লালুপ্রসাদ যাদব মোটেও সেই জায়গায় নেই। বরং সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা ভোগ করছেন বন্দী অবস্থায় বাংলোর অন্দরে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই লালুকে পুনরায় জেলে পাঠানোর দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। তবে গেরুয়া শিবির সরব হয়ে উঠলেও এ বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি আরজেডিকে। অভিযোগ উঠছে ও বিজেপি রাজ্য ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী প্রচেষ্টাতেই জেল ছেড়ে বাংলোয় ঠাঁই হয়েছে লালুর।
আরও পড়ুন:প্রাণ হারালেন প্রথম সারির যোদ্ধারা, করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে ফের মৃত্যু ৫ চিকিৎসকের
প্রসঙ্গত পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় চার বছরের সাজা হয় লালু প্রসাদ যাদবের। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ঝাড়খন্ড বিরসা মুন্ডা জেলে বন্দী রয়েছেন ৭২ বছরের লালু। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১৮ সালের আগস্ট মাস থেকে রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইন্স কলেজে ভর্তি ছিলেন। এরপর করোনা আতঙ্কের জেরে চলতি বছরে তাঁকে রিমস প্রধানের সরকারি বাংলোতে পাঠানো হয়।


































































































































