প্রয়াত কবি অলোকরঞ্জন, ক্রমাগত নিঃস্ব হচ্ছে বাংলার ভাবনার জগত

0
4

ফের এক দুঃসংবাদ।

প্রয়াত হলেন কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত৷ জার্মানিতে নিজস্ব বাসভবনে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ঌটা নাগাদ মৃত্যু হয় কবির৷ বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

বৈদগ্ধ্য আর সৃষ্টির আশ্চর্য মেলবন্ধন অলোকরঞ্জনের জীবন জুড়ে। নিজের ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র উৎসর্গ পত্রে লিখেছিলেন, “ভগবানের গুপ্তচর মৃত্যু এসে বাঁধুক ঘর-ছন্দে, আমি কবিতা ছাড়ব না”৷ আমৃত্যু ছাড়েননি কবিতা লেখা, যেসব কবিতা উস্কে দিয়েছিল বহু বাঙালির কবিতা লেখার আবেগ। এই ২০২০ সালে ক্রমাগত নিঃস্ব হচ্ছে বাংলার শিল্প,সাহিত্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতিজগত৷ শূন্য হচ্ছে, দীন হয়ে পড়ছে বাঙালির চিন্তা-ভাবনার জগত৷

বেশ কয়েকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন অলোকরঞ্জন। তাঁর স্ত্রী এলিজাবেথ এই মৃত্যুসংবাদ জানিয়েছেন৷ কবি শঙ্খ ঘোষের আমৃত্যু বন্ধু অলোকরঞ্জনের ২০টির ওপর কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে৷

আরও পড়ুন:ব্রেকফাস্ট নিউজ

অলোকরঞ্জনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৬ অক্টোবর। শান্তিনিকেতনে শিক্ষার সূচনা৷ উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য নাম লেখান সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। স্নাতকোত্তর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷ প্রায় ১২ বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন৷ তারপর হামবোল্ড ফাউন্ডেশন ফেলোশিপে অলোকরঞ্জন পৌঁছে যান জার্মানিতে। বাংলা ভাষার সঙ্গে জার্মান সাহিত্যের মেলবন্ধনের স্রষ্টা তিনিই। দু’ভাষাতেই স্বচ্ছন্দে অনুবাদ করেছেন অজস্র কাব্য। জার্মান সরকার তাঁকে গ্যেটে পুরস্কারে ভূষিত করেন। ১৯৯২ সালে সাহিত্য অ্যাকা়ডেমি পুরস্কার লাভ করেন৷ তরুণ প্রজন্মের আজীবন বন্ধু, সজ্জন, মিতভাষী মানুষটি চলে গেলেন নীরবে, প্রবাসে৷