রানি শিরোমণির স্মৃতি বিজড়িত শালবনির কর্ণগড়ের কথা জানেন? সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, শীতের মরসুমে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র হতে পারে ইতিহাস-সমৃদ্ধ এই কর্ণগড়। পর্যটকদের থাকার কটেজ চালু হয়ে যাবে ডিসেম্বরেই। চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। আসলে এই এলাকার সঙ্গে ওতেপ্রাতভাবে জড়িয়ে আছে ইতিহাস। আর সেই আকর্ষণেই বহু মানুষ ছুটে আসেন শালবনির কর্ণগড়ে।
শালবনির বিডিও সঞ্জয় মালাকার বলেন, ‘‘এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
রানি শিরোমণির গড়ে এখন দুর্গ না থাকলেও, রয়েছে দুর্গের অংশ বিশেষ। সেই স্মৃতিও আগাছায় ভরে গিয়েছিল। সংস্কারের অভাবে হারাতে বসেছিল ইতিহাস । গত মাসে জেলা সফরে এসে কর্ণগড় মন্দিরের উন্নয়নে এক কোটি টাকা বরাদ্দ করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয় । চেষ্টা করা হচ্ছে তার শ্রী ফেরানোর । 
নিশ্চয়ই ভাবছেন কী সেই ইতিহাস?
কর্ণগড়ে এখন রয়েছে বলতে শুধু মহামায়ার মন্দির। রানি শিরোমণি এখানে পুজো দিতে আসতেন।
ইতিহাস বলছে, ১৭৫৫ সালে মৃত্যু হয় শেষ অপুত্রক রাজা অজিত সিংহের। তাঁর দুই রানি ছিলেন ভবানী ও শিরোমণি। রানি শিরোমণি ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষকে এককাট্টা করে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ফলে ইংরেজদের কোপে পড়েছিলেন রানি। তাঁকে বন্দিও করা হয়েছিল। নাড়াজোলের রাজা আনন্দলাল খানের মধ্যস্থতায় চরম সাজা না হলেও তাঁকে আবাসগড়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। রানি শিরোমণির নেতৃত্বে চুয়াড় বিদ্রোহের ইতিহাস বহন করে চলেছে শালবনির এই এলাকা।
সব ঠিকঠাক থাকলে মাসখানেকের মধ্যেই হাতের নাগালের মধ্যে শালবনিতে সেই ইতিহাসকে ছুঁতে পারবেন পর্যটকরা।

































































































































