চতুর্থবারের জন্য নীতীশকুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হলেও এবার আর উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়া হচ্ছে না বিজেপিতে নীতীশের অন্যতম বন্ধু সুশীল মোদির। এতদিন সুশীল মোদি শুধু বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীই ছিলেন না, তিনি গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রক ও বিজেপি পরিষদীয় দলনেতার দায়িত্ব সামলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত রসায়ন অত্যন্ত ভাল। বলা হত, বিজেপির সঙ্গে নীতীশের সেতুবন্ধনের কাজ করতেন নীতীশের অন্যতম বন্ধু সুশীল মোদি।

আরও পড়ুন : বিহারে শপথ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার
কিন্তু এবার বিধানসভা ভোটে জেডিইউয়ের চেয়ে বিজেপি বেশি আসন পেতেই প্রথম কোপ পড়ল সুশীল মোদির উপর। বিজেপি বুঝিয়ে দিল, নামে এনডিএ হলেও এটা আদতে বিজেপিরই সরকার। এখানে নীতীশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে না। জোটধর্মের খাতিরে পূর্ব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে বটে, তবে সরকার চালাবে বিজেপি কেন্দ্রীয় কমিটিই। নীতীশের ব্যক্তিগত স্তরের বন্ধু সুশীল মোদিকে রাখলে দিল্লির বিজেপি নেতাদের এই প্ল্যান ভেস্তে যেতে পারে মনে করেই তাঁকে আর নীতীশের ত্রাতা হিসাবে থাকার সুযোগ দেননি অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। সুশীল মোদির পরিবর্তে যে দুজনকে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী করা হল তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতা সেভাবে নেই নীতীশের। এই দুজনকে দিয়েই নীতীশের উপর চাপ বজায় রাখার ছক কষেছে বিজেপি। নিজের দলের এই সিদ্ধান্তে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি খুশি নন বলেই খবর।
আরও পড়ুন : পাখির চোখ ২১-এর নির্বাচন ,দিলীপকে ভাইফোঁটা মহিলা মোর্চার
যদিও শোনা যাচ্ছে, প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের আসন থেকে তাঁকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে এনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার ভাবনা রয়েছে মোদি সরকারের। নতুন এই পরিস্থিতিতে আগামী ছ’মাস পর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিহারে বিজেপির সম্পর্ক কোন খাতে বইবে, তা নিয়ে এখনই সন্দিহান অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক।



































































































































