বিয়ে হোক বা অন্নপ্রাশন, অথবা যেকোনো পুজো- প্রয়োজন হয় শোলার সাজের। কিন্তু করোনা আবহে এখন সেই শোলার সাজের কাজ প্রায় বন্ধের মুখে। লকডাউন পরিস্থিতির পরে, এখন শোলা শিল্পীদের রুজি-রোজগার নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। পুজোর মরসুমে যেভাবে শোলাশিল্পীরা ভিন জেলা এবং রাজ্য থেকে মালদহে তাঁদের সামগ্রী আনাতেন, এবারে তার সিকিভাগও করতে পারেননি।
তার উপর উৎপাদন থাকলেও শোলার সাজের কোন বায়না আসেনি। এই অবস্থায় মালদা শোলাশিল্পীরা এখন পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বিকল্প পথ হিসেবে কেউ শুরু করেছেন দিনমজুরি, আবার কেউ দোকানে কাজ করছেন। এখন শোলা শিল্পীদের আর্জি, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করুক।

পুরাতন মালদহের নবাবগঞ্জ হাটই শোলার সামগ্রী বিক্রির প্রধান জায়গা। একমাত্র নবাবগঞ্জ হাটে প্রতি রবি ও বুধবার শোলারহাট বসে। থার্মোকলের বাজারেও শোলার শিল্পের তেমন আঘাত আসেনি। কিন্তু এখন করোনা সংক্রমণ এই শিল্পীদের রুজি-রোজগার তছনছ করে দিয়েছে। পয়লা বৈশাখ , তারপর গণেশ পুজো- বরাত মেলেনি। দুর্গাপুজোর জন্য আশা করে বসেছিলেন শিল্পীরা। কিন্তু এবার সকলেই স্বল্প পরিসরে পুজো সেরেছেন। ফলে সেখানেও বিক্রি হয়নি আশানুরূপ।
সামনে রয়েছে কালী, জগধাত্রী , কার্তিকপুজো। এমনকী ছটপুজোতেও শোলার সাজের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এ ছাড়াও বিয়ে সহ বিভিন্ন ধরনের উৎসবমুখী অনুষ্ঠানেও শোলার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই সব চাহিদা এবার একেবারে নেই বলে জানিয়েছেন শোলা শিল্পীরা। এখন সরকারি সাহায্যের আশায় তাঁরা।



































































































































