একুশের ভোটের ডঙ্কা বাজলো বলে। তার আগেই দলীয় কর্মসূচিতে ফের বাংলা সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাঁকুড়া ও কলকাতায় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন তিনি। যা রাজনৈতিকভাবে খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। দু’দিনের এই সফরে অমিত শাহের জন্য বৃহস্পতিবার জঙ্গলমহলে এক আদিবাসীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। পরের দিন, শুক্রবার শাহ পেটপুজো করবেন নিউটাউনের এক মতুয়া পরিবারে। যাবেন মতুয়া মন্দিরেও।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল শাসক দল তৃণমূল। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া ফুটেছিল পদ্ম। শাসকের আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কে ধস নামিয়েই জয় পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই ধারাই বজায় রাখার লক্ষ্যে জঙ্গলমহলেই যাবেন অমিত শাহ।

এদিকে জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধারের কোনও চেষ্টাই বাদ রাখছে না ঘাসফুল শিবির। কিন্তু শাসকের সেই চেষ্টায় জল ঢালতে খোদ ময়দানে নামছেন অমিত শাহ।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় নামার পর কপ্টারে যাবেন বাঁকুড়ায়। সেখানে বীরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করবেন শাহ। তারপর রবীন্দ্রভবনে সাংগঠনিক বৈঠক। সেখান থেকে চতুরদিহি গ্রামে যাবেন। পরেরদিন, ৬ নভেম্বর সকালে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে পুজো দেবেন অমিত শাহ। তারপর শাস্ত্রীর সঙ্গীত শিল্পী পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠক। সকালে সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বসবেন। তারপর গৌরাঙ্গনগরে এক মতুয়ার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন।
তার আগে বুধবার রাতে প্রথমে কলকাতায় এসে রাজারহাটের একটি হোটেলে থাকবেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্র ভবনে ও শুক্রবার কলকাতার ইজেডসিসি-তে সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা শাহর।
বাঁকুড়ার বৈঠকে থাকবেন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, বর্ধমান, মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলির দলীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি, কলকাতার বৈঠকে থাকবেন নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর ঝটকায় কুপোকাৎ ডিএম-এসপি






























































































































