দিলীপ ঘোষকে কি সরানো হচ্ছে? সকাল থেকে একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলের খবরে সামান্য উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। খবর গিয়েছে খোদ রাজ্য সভাপতির কানেও। দলীয় বৈঠকের মাঝেই খোশ মেজাজে থাকা দিলীপের জবাব, এসব হাওয়ার খবর এর আগেও বহুবার হয়েছে। ফলে এসবে আমার কোনও উত্তেজনা তৈরি হয় না। এমন গুজব শুনে আমি অভ্যস্ত।

প্রশ্ন হচ্ছে, যারা রাজ্য দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সরানোর খবর পান প্রেস রিলিজ থেকে, তাঁরা কোন বিজ্ঞানে রাজ্য সভাপতির অপসারণের খবর আগাম পেয়ে যান, সেটাই বিস্ময়ের বিজেপির অন্দরে।আসলে দলের মধ্যে মুকুল গোষ্ঠী, পরিযায়ী, দলবদলুরা সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণে হঠাৎই উৎসাহিত হয়ে পড়েছেন। এই সব তৃণমূলস্তরে যোগাযোগাবিহীন পরজীবীরা ক্ষমতা দখলের যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে বিজেপি, তাকে সমূলে ধ্বংস করে তৃণমূলের সুবিধা করে দেওয়ার খেলায় নেমেছেন। এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অবাঙালি সর্বভারতীয় বিজেপি নেতারাও। এইসব নেতারা সকাল থেকে নানাজনকে এসব গুজবে ওড়া খবর পাঠাতে শুরু করেন। তাঁরা জানেন এ খবরের কোনও ভিত্তি না থাকলেও যত এই খবর ছড়াবে, তত চাপে থাকবেন দিলীপ। আর সেই ফাঁকে দলটার মাজা ভেঙে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করে নেবেন তাঁরা।
সকালের এই খবরের জেরে বিজেপি মহলেও চাপা বিরক্তি। দলের রাজ্যস্তরের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা এই খবর শুনে বলেন, প্রথমেই বলি এই খবর ভিত্তিহীন। তবে যদির কথা হলো এমন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নেতারা নিলে তা হবে আত্মঘাতী। বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভেঙে খানখান হয়ে যাবে। আর সেই সঙ্গে তৃণমূলীকরণ হবে বিজেপির।
আরও পড়ুন-দিলীপ ঘোষকে সরাচ্ছে দিল্লি? টিভির খবরে চাঞ্চল্য




































































































































