নরেন্দ্র মোদি ভালো। কিন্তু বাংলার বিজেপি নীতিচ্যুত। বাঙালি হিন্দুদের স্বার্থরক্ষায় কাজ হচ্ছে না। দলবদলু তৃণমূলিদের সুবিধাবাদী রাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। বাঙালি হিন্দুদের স্বার্থে তীব্র আন্দোলন দরকার।
মোটামুটি এই বার্তা সামনে রেখে বাংলার রাজনীতিতে জন্ম নিচ্ছে আরেকটি রাজনৈতিক শক্তি। দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে হিন্দু সংহতির রাজনৈতিক মঞ্চ। মূলত তপন ঘোষের সৌজন্যে বিখ্যাত হওয়া হিন্দু সংহতির সভাপতি এখন দেবতনু ভট্টাচার্য। তিনিই নতুন দলের নেতৃত্বে থাকছেন। মূলত আর এস এস, বিজেপির আদি সমর্থকরা এখানে থাকছেন। একাধিক বড় নেতাও পিছনে আছেন। দল গঠনের যাবতীয় কাজ চলছে। দেবতনুবাবু এবং তাঁর টিম একাধিক জেলাসফর করেছেন। বড়সড় প্রস্তুতি তুঙ্গে। বিধানসভায় তাঁরা প্রার্থীও দেবেন।
জানা গিয়েছে এঁদের বক্তব্য, বাঙালি হিন্দু ক্রমশ বিপন্ন হচ্ছে। তাদের স্বার্থে লড়াই দরকার। বিজেপি এখন ভোটের জন্য সেই তৃণমূল বা কংগ্রেস- বামেদের মতই মুসলিম নেতা ও ধর্মগুরুদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। দলবদলু তৃণমূলিরা যাঁরা আসছেন তাঁরাও স্রেফ ক্ষমতার অঙ্কে। এর সঙ্গে আর এস এস বা বিজেপির মূল ভাবনার সম্পর্ক নেই। তাছাড়া অবাঙালি কিছু নেতা এসে যেভাবে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, তাতে বাঙালি হিন্দুদের স্বার্থে কাজ করা যাচ্ছে না। নতুন দল বাঙালি হিন্দুদের স্বার্থে কাজ করবে বলেই তৈরি হচ্ছে। তবে জাতীয় রাজনীতিতে এঁরা নরেন্দ্র মোদিকেই বিকল্পহীন বলে মনে করেন।
হিন্দু সংহতি বিরাট সংগঠন। তপন ঘোষের প্রয়াণের পর দেবতনুবাবুরা চালিয়ে যাচ্ছেন। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনেও তাঁরা বিজেপির হয়ে ভোট করেছেন। কিন্তু এখন বঙ্গ বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এঁদের কথায় তৃণমূলের যে নেতাদের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল, তাঁরাই এখন যদি বিজেপির নেতা সাজেন, সেটা মানা অসম্ভব। বাঙালি হিন্দুর আসল লড়াইটাই এখন থাকছে না। অথচ আজ বাংলায় সেটাই দরকার।
সূত্রের খবর, দেবতনুবাবু ও সহকর্মীরা একপ্রস্থ কর্মিসভা সেরেছেন। ঠিক হয়েছে আগে দলের কাজ শুরু হবে। তারপর বহু নেতা যোগ দেবেন। তবে এর প্রস্তুতির খবর পেয়ে বিজেপি থেকে আটকানোর কাজও শুরু হয়েছে। দেবতনুবাবুকে বিজেপির পদে আসতে বলেছেন এক নেতা। কিন্তু বাঙালি হিন্দুর বিষয়ে লড়াইয়ের মূল জায়গা থেকে তাঁকে সরানো যায়নি। আর এস এসের একটি বড় অংশের সমর্থকরাও নতুন দলের মঞ্চে থাকছেন। এঁদের ইচ্ছে রানি রাসমণি রোডে সমাবেশ দিয়ে শুরু করা। করোনার জন্য তা না হলে দেরি করবেন না। এলাকাভিত্তিক জনসভা হবে তাহলে। মূলত শতাধিক বিধানসভা আসন টার্গেট করে নামবে হিন্দু সংহতির নতুন রাজনৈতিক দল। পুজোর পরেই প্রকাশ্যে ঘোষণা হবে। এঁদের বার্তা: বাঙালি হিন্দুর মঞ্চ যদি সরকার গঠনে নির্ধারক শক্তি না হয়, তাহলে রাজ্যে বাঙালি হিন্দুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
এ বিষয়ে হিন্দু সংহতির সভাপতি দেবতনুবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,” সদস্য সমর্থকরা অধিকাংশই বাঙালি হিন্দুর মঞ্চ হিসেবে নতুন দল চাইছেন। কাজ চলছে। সময় এলে যা বলার বলা হবে।”


































































































































