শহরতলির বিভিন্ন স্টেশনে এবার প্রবেশ ও প্রস্থানের একাধিক পথ বন্ধ করে দিচ্ছে রেল। টিনের রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে ঢোকার পথ। হাওড়া এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের একাধিক স্টেশনে এই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, অবাধ প্রবেশাধিকার রুখতেই এই পরিকল্পনা নিয়েছে রেল।
স্পষ্টতই, রেলের এই উদ্যোগের পর প্রশ্ন উঠছে, লোকাল ট্রেনে সবাই ওঠার সুযোগ পাবেন তো? হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানান, ন্যূনতম সংখ্যায় যাত্রীরা যাতে স্টেশনে ঢুকে পারে সেই জন্যই প্ল্যাটফর্মের একাধিক পথ বন্ধ করা হচ্ছে। লোকাল ট্রেন শুরু হলে ভিড় এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, কোন শ্রেণীর যাত্রীরা প্রথমে ট্রেনে যাতায়াত করবেন তা সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। রাজ্য যদি চায় যাত্রী সংখ্যা ট্রেনে কমাতে হবে তবে রেলও সেই মতো কাজ করবে। স্টেশনে প্রবেশ এর জন্য দুটি গেট থাকলে, আরপিএফদের কাজ করতে সুবিধা হবে।
প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোর সময় বহু মানুষ ট্রেনে চড়ে ঠাকুর দেখতে শহরের দিকে আসেন। কিন্তু এই বছর পরিস্থিতি ভিন্ন। রেল কর্মীদের জন্য হাওড়ায় ৫২টি এবং শিয়ালদহে ১৩০টি ট্রেন চলছে। পুজোর সময় যাতে রেলকর্মী বাদে অন্য কেউ ট্রেনে উঠতে না পারেন সেই কারণেই ঘেরা হচ্ছে স্টেশন। এই বিষয়ে শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং জানান, ” রাজ্য আলোচনার পর বিধিনিষেধ জারি করলে প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে। প্রাথমিক কাজ আগে সেরে রাখছে রেল।”
তবে শুধুমাত্র পুজোর সময় নয়, তাই নয় পুজো পরবর্তী সময়ও এই পদ্ধতি কাজে আসবে বলে আশাবাদী রেল। জানা গিয়েছে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আরপিএফ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। লোকাল ট্রেন চালু হলে যাত্রী কীভাবে ঢুকবে বেরোবে, কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোভিড সতর্কতায় আরপিএফ কুকুরদেরও কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:লালবাজারে পুজো গাইড প্রকাশ করলো কলকাতা পুলিশ




































































































































