শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষকরাই সমাজ তৈরির কারিগর। এবার সেই শিক্ষকরাই এগিয়ে এলেন সমাজ কল্যাণে রক্তদান করতে। করোনা আবহে দীর্ঘ লকডাউন পর্ব এবং বর্তমানে আনলক পর্বেও এখনও খোলেনি স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পঠন-পাঠন চলছে অনলাইনে। তবে বসে নেই পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্ৰথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। গোটা লকডাউন পর্বে তাঁরা নীরবে কাজ করে গিয়েছেন।
পাহাড় থেকে জঙ্গল, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ছুটে গিয়েছে এলাকায় এলাকায় পাশে দাঁড়িয়েছে দুর্গত মানুষদের। করোনা আবহে রক্তের সঙ্কট মেটাতে একের পর এক রক্তদান শিবির করেছে তারা। প্রচারের আলোর বাইরে থেকে এতদিনে ১২১টির বেশি রক্তদান শিবির করে ফেলেছে তৃণমূলের এই শিক্ষক সংগঠন। তারই অঙ্গ হিসেবে এবার উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। যেখানে উপস্থিত থেকে রক্তদাতাদের উৎসাহ দেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র,কার্যকরী সভাপতি পলাশ সাধুখাঁ, রাজ্য সম্পাদক মধুমিতা মণ্ডল। এছাড়াও ছিলেন উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি আশিস বিশ্বাস, চেয়ারম্যান অনিল পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক আলোক কুমার শুক্লা প্রমুখ।

সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, “অনেকেই মনে করছেন করোনার মধ্যে স্কুল ছুটি থাকায় শিক্ষররা হয়তো বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে বা নিজেদের এলাকায় নীরবে মানুষের সেবা করে চলেছে। আমাদের অনুপ্রেরণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা প্রচারের আলোর বাইরে থেকেই রাজ্যজুড়ে ১২১টি রক্তদান শিবির করে ফেলেছি। আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।”
মন্ত্রী শশী পাঁজা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষকদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, একুশের নির্বাচনে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই তৃতীয় মা-মাটি-মানুষের সরকার গঠিত হবে বলেই দাবি করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতা-নেত্রীরা।
আরও পড়ুন-সিলেটের চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ল



































































































































