বয়স ৭০ পেরিয়েছে। মাথার ওপর রয়েছে গোটা ভারতের দায়িত্ব। তবে বয়সকে পিছনে ফেলে আজও তিনি কর্মচঞ্চল যুবকের মতই ছটফটে। নির্বাচনী ভাষণ থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জ, তার দৃপ্তকন্ঠ সম্মোহিত করে গোটা বিশ্বকে। তবে এত বয়সেও কিভাবে এতখানি ফিট দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল প্রধানমন্ত্রীর সুস্থ থাকার গোপন রহস্য। শোনা যায় যে কোনও মানুষের খাদ্যাভাসের উপরেই নির্ভর করে সেই মানুষের সুস্থতার রহস্য। দেশের প্রধানমন্ত্রীর ফিটনেসের মন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে তাঁর খাদ্যাভাসের উপরেই।
জানা যায়, মায়ের হাতের খাবার খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণ করার পর গত ২০ বছর ধরে মায়ের হাতের খাবার নিয়মিতভাবে তার পাতে পড়েনি। গত কয়েক বছর ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাধুনী বদ্রি মিনা। রান্নার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর খাওয়ার সময় নির্ধারণ করে দেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য তালিকার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন মিনা। জানা গেছে, গত ২০ বছর ধরে নিয়মিত রান্না করে দেওয়ার জন্য এখন তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রী রাধুনী নন, হয়ে উঠেছেন বন্ধুসম। তার কথায়, সপ্তাহে তিনদিন খিচুড়ি খান মোদিজি। পাশাপাশি গুজরাটের বাসিন্দা নরেন্দ্র মোদি গুজরাটি খাবারের অসম্ভব ভক্ত। খিচুড়ির পাশাপাশি তার খাদ্যতালিকায় থাকে ইডলি, ধোসা, সাম্বারের মত জিনিসগুলিও। খাবারের পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর দেওয়া হয় বাড়তি নজর।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ঘরে বসে পেয়ে যাবেন আধার কার্ড, কেমন করে জানেন?
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তার রান্নার কাজের জন্য নিয়োজিত থাকেন ১০ থেকে ১২ জন কর্মী। এদের সবার মাথার উপরে রয়েছেন বদ্রি মিনা। রান্না থেকে শুরু করে খাবারের সময় নির্ধারণ সবটাই করে আসছেন তিনি গত ২০ বছর ধরে। তার কথায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভীষণভাবে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। তাই স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর বাড়তি নজরদারি রাখতে হয় সর্বদা। জানা যায়, একটা সময় রান্নার কাজে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। মাকে নিয়মিত রান্নার কাজে সাহায্যও করতেন তিনি। যদিও ব্যস্ততার কারণে এখন আর সেই সময় হয়ে ওঠে না তাঁর।



































































































































