অনুমতি নিয়েই খুন, ভাইরাল ‘টুইটার’ খুনির আইনজীবীর বক্তব্য

0
4

বয়স মোটে ২৯ বছর। নাম, তাকাহিরো শিরাইশি। জাপানের বাসিন্দা। নামে হিরো থাকলেও, তিনি কিন্তু মোটেও হিরো নন। ৯টি খুনের মামলা ঝুলছে তার কপালে। যদিও তার আইনজীবীর মতে, যেহেতু খুনগুলি ভিক্টিমদের অনুমতি নিয়ে করা, তাই তার মোটেও ফাঁসি হওয়া উচিৎ নয়। বড়জোর বছর সাতেকের জেল হতে পারে। আইনজীবীর সেই বক্তব্যই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল দুনিয়ায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, তিন বছর আগে ২৩ বছর বয়সী এক মহিলা টুইটারে লেখেন, তিনি আত্মহত্যা করতে চান। তার কিছুদিন পরই অদ্ভুতভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। টুইটারে খোঁজ করতে গিয়ে এক সন্দেহজনক ব্যক্তির খোঁজ পান মহিলার ভাই। তখনই উঠে আসে তাকাহিরোর নাম।

২০১৭ সালে হ্যালোইনের রাতে তার বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। ঢুকেই তাদের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় হয়। দেখা যায়, কুলবক্সে ভরে সাজানো রয়েছে দেহগুলি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য অভিনব উপায় বেছে নিত তাকাহিরো। দেহগুলিকে টুকরো টুকরো করে কাটত। তারপর কুলবক্সে ভরে বাড়িতেই রেখে দিত সেগুলি।

আরও পড়ুন : ভূখণ্ড নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে অব্যাহত লড়াই, সংযত হওয়ার বার্তা ভারতের

গত বুধবারই টুইটার কিলার স্বীকার করে নেয়, তিনি টুইটারে যোগাযোগ করে মোট ন’জনকে খুন করেছে। তার মেন টার্গেট ছিল ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা। ৯ জনের মধ্যে ৮ জনই ছিল মেয়ে, সবচেয়ে ছোটোটির বয়স ছিল ১৫। বাকি যে ১ জন ছিল, সেই ছেলেটির বয়স ছিল ২০ বছর। জানা গেছে, সে টুইটারে খুঁজে বেড়াত এমন মানুষদের, যারা আত্মহত্যা করতে চেয়ে পোস্ট করত। তাদের ঠিক পথে চালিত করা তো দূর, তাকাহিরো তাদের বলত, সে নিজেই তাদের মরতে সাহায্য করবে। কাউকে আবার বলত আমিও আপনার সঙ্গে আত্মহত্যা করতে চাই। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও অভিযোগ আছে। আদালতে তার বিরুদ্ধে ন’টি খুনের অভিযোগ আনা হলে প্রতিবাদ করেনি তাকাহিরো। তবে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল, “ভাবতেই পারিনি ধরা পড়ে যাব।”

আইনজীবী যতই অনুমতি নেওয়ার কথা বলুন, এক সাক্ষাৎকারে তাকাহিরো জানিয়েছিল, যে সে কোনও অনুমতি নেয়নি খুনগুলি করার আগে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলির মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। দোষ প্রমাণিত হলে, ফাঁসির সাজা হতে পারে তাকাহিরোর।