উত্তর প্রদেশে দলিত তরুণীর ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল দেশ। রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড়। যোগী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এবার এই ধর্ষণ ও মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের দলিত নেত্রী
তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী।
আজ, বৃহস্পতিবার হাতরাস গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে সুর চড়ালেন বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী। তিনি বলেন, “এমন একটা দিন নেই, যেখানে উত্তর প্রদেশে অপরাধ হয় না। আমার বিশ্বাস নারী নির্যাতনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাজ্যসরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু পাশাপাশি একই ধরনের আরও একটি অপরাধ ঘটে গেল বলরামপুরে। আসলে , উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকারের আমলে অপরাধী, মাফিয়া, ধর্ষক সকলেই মুক্ত হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে। তাই একটি দিনও অপরাধবিহীন কাটছে না।”
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। মহিলাদের সুরক্ষা দিতে না পারলে যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ করা উচিৎ বলেও দাবি করেন মায়াবতী। তাঁর কথায়, “যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ। কেন্দ্রের উচিৎ তাঁকে তাঁর যোগ্য স্থানে, অর্থাৎ গোরক্ষনাথ মঠে পাঠিয়ে দেওয়া। যদি, সেখানেও তাঁর মন না টেকে তবে তাঁকে রাম মন্দির নির্মাণ কার্যের দায়িত্ব দেওয়া হোক।”
এদিকে, হাথরাসে ১৪৪ ধারা। তার মাঝেই আজ সেখানে যেতে পারেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আজ, বৃহস্পতিবার হাতরাসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা তাঁদের। অন্যদিকে, যোগী সরকারের সিট টিম তদন্তে যাবে ওই গ্রামে। তার আগে হাতরাস সীমান্তে জারি হয়ে গিয়েছে ১৪৪ ধারা। এই বিষয়ে জেলাশাসক জানিয়েছেন, রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সফর সম্পর্কে তিনি কিছুই জানে না। তবে ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় ওই এলাকায় একসঙ্গে ৫ জনের বেশি প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, সিট ওই পরিবারের সঙ্গে আজ দেখা করবে। সে সময় সংবাদ মাধ্যমকেও সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ফলে সেখানে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার যাওয়া নিয়ে যে একটা ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


































































































































