পরিবহন ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন খুনের কিনারা মিলল সিগারেটের টুকরা থেকে। গাড়িতে পড়ে থাকা সিগারেটই ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরিয়ে দিল। ৯ বছর আগের এই ঘটনায় মিলি পাল এবং বাপি সাহার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেছে শিয়ালদহ আদালত। একইসঙ্গে ২ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারই তাদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বুধবার রায় ঘোষণা করে শিয়ালদহ কোর্ট। ২০১১ সালের মে মাসে সল্টলেকে তেরো নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে গুলি করা হয় সালাউদ্দিনকে। বউবাজারের বাসিন্দা, পেশায় পরিবহন ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কোনওমতে গাড়ি চালিয়ে উল্টোডাঙা থানায় গিয়ে তিনি নিজেই অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীর।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তদন্তে জানা যায়, ধৃত মিলি পালের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল সালাউদ্দিনের। সালাউদ্দিনকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে মিলি। কিন্তু বিয়ে করতে অস্বীকার করে সালাউদ্দিন। এরপরই বাপির সঙ্গে যোগাযোগ করে মিলি। টাকার বিনিময়ে বাপিকে খুনের বরাত দেয় ওই মহিলা। খুনের তদন্তে নেমে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে সিআইডি। গাড়ি-সহ ৪৭টি জিনিস বাজেয়াপ্ত করে তদন্তকারীরা।
ঘটনার তদন্তে নেমে ওই গাড়িতে তল্লাশি করে সিআইডি।প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা অনুমান করে, গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন বাপি। তল্লাশি চালিয়ে গাড়ি থেকে মেলে একটি সিগারেটের টুকরো। সিগারেটের ওই অংশ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে বাপির রক্ত পরীক্ষা করা হয়। গাড়ি থেকে পাওয়া পোড়া সিগারেটে লেগে থাকা লালার সঙ্গে মিলে যায় বাপির ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট। জিজ্ঞাসাবাদে দুজনই খুনের কথা স্বীকার করেছে। মিলি এবং বাপির বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইন এবং লুটের অভিযোগে বুধবার সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।
আরও পড়ুন-নিউটাউনে আইনজীবী খুনে স্ত্রীর যাবজ্জীবন, কোর্ট সরগরম
































































































































