বিজেপির “গণতন্ত্র বাঁচাও” দিবসকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বোমাবাজিতে রণক্ষেত্র কোচবিহার। জেলার মাথাভাঙা মহকুমায় গেরুয়া শিবিরের এই রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। চলল ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলি। সংঘর্ষের ঘটনা গুরুতর আহত হয়েছেন দু’পক্ষের কম করে ১২ জন কর্মী-সমর্থক। অনেককেই ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। আহতদেত মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সংঘর্ষ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। মৃদু লাঠি চার্জও করতে হয় পুলিশকে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে আটক করেছে।
যদিও স্থানীয় বিজেপির অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু দেখে দেখে পুলিশ তাদের সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে। বিজেপি সমর্থকদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য , এমনও অভিযোগ তোলা হয় শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, পাখির চোখে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই আজ শুক্রবার অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্র বাঁচাও দিবসের ডাক দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ দিন রাজ্য জুড়ে প্রায় ৮১টি বিডিও অফিসের সামনে ধর্ণায় বসে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সঙ্গে ছিল সমর্থকরাও। এদিন কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর মাথাভাঙায় মহকুমা শাসকের দফটরে ডেপুটেশন দিতে যায় বিজেপির নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে ফেরার সময়েই এই সংঘর্ষের ঘটনা বলে জানা গিয়েছে
এদিকে বিজেপির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তাদের কোনও কর্মী-সমর্থক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। এটা মাথাভাঙায় বিজেপির দুই গোষ্ঠীর লড়াই। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা।
আরও পড়ুন- অক্ষয়ের কারিকুরি ফাঁস করলেন সোনু

































































































































