মহামারির কারণে কলকাতা বইমেলা এবার চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায়।
সূচি অনুসারে ২০২১ সালে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ৪৫তম বইমেলার সূচনা হওয়ার কথা।
এবারের ‘থিম কান্ট্রি’ নির্বাচিত করা হয়েছিল
বাংলাদেশকে৷ এই মুহূর্তে সব কিছু অনিশ্চিত। এবার আদৌ কলকাতা বইমেলা হবে কি’না সন্দেহ৷
নবান্নের বক্তব্য, বইমেলায় প্রতিদিন গড়ে এক লাখ দর্শক আসেন। মহামারির এই সময়ে বইমেলার অনুমতি দেওয়া অসম্ভব।পরিস্থিতির বিরাট উন্নতি না হলে বইমেলা আদৌ করা যাবে কি না, তা নিয়েই সংশয় রয়েছে।
আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড দিনকয়েক আগে বৈঠকে বসে। সেখানেও কেউ আশার কথা শোনাতে পারেননি। জানা গিয়েছে, জুলাই- আগস্টের মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রকাশকদের কাছে গিল্ডের তরফে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেপ্টেম্বর থেকে মেলার মাঠের পরিকাঠামো, স্টল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু মহামারির জেরে গোটা প্রক্রিয়াটাই বন্ধ।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের তরফে সুধাংশুশেখর দে বলেছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন। সামাজিক দূরত্ববিধির কারনে বইমেলা চেনা ছন্দ এবার হারাতে পারে। বিষয়টি নিয়ে খুব শীঘ্রই আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব। প্রশাসনের নির্দেশ মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এদিকে বিকল্প প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা চলছে৷
বইমেলায় অংশ নেওয়া প্রত্যেক প্রকাশকের বইয়ের সম্ভার সংক্রান্ত তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে তুলে দিতে বলা হবে৷ ঊর ফলে পুস্তকপ্রেমীরা অ্যাপে কিংবা অনলাইনে সবকিছু জানতে পারেন। তারপর পছন্দের বই ডিজিটালি কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে গিল্ড কিংবা প্রকাশকের তরফে সেই বই পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।




























































































































