গত আড়াই বছর কার্যত কোনো বড় পদ না দিলেও এইবার বাংলার ভোটের আগে তা দিতেই হবে।
অন্যথায় পুরনো দলে ফিরে যাবেন মুকুল রায়।
বিজেপির দিল্লির নেতৃত্বের উপর এই চাপ বাড়িয়ে অঙ্ক কষছে তাঁর শিবির। সেই সঙ্গে একটু ধৈর্যও ধরছেন।
দিল্লির বহুদিন ধরেই খবর, হয় রাজ্যসভায় এনে মন্ত্রী; অথবা দলের সর্বভারতীয় অন্যতম সহসভাপতি, কিংবা রাজ্য নির্বাচন কমিটির প্রধান; এই তিন দায়িত্বের একটি দেওয়া হতে পারে মুকুলকে। আসলে এতদিন যতই উপেক্ষা করা হোক, ভোটের মুখে তিনি দল ছাড়ুন, এটা চাইছে না দিল্লি। মুকুলের ঘনিষ্ঠমহল দুভাগ। একপক্ষ চাইছে এই সময়ে পদ নিয়ে থেকে যাওয়া। অন্য পক্ষ চায় আর সময় নষ্ট না করে তৃণমূলে ফেরা। রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও তদন্ত বা মামলা সংক্রান্ত কারণগুলিও ভাবতে হচ্ছে মুকুলকে। দুম্ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তিনি। মুকুলের তথাকথিত দুএকজন অধুনাভক্ত ক্রমাগত ব্যক্তিস্বার্থে মুকুলের ক্ষতি করে চলেছেন। এদিকে চোখের চিকিৎসায় ভালো আছেন মুকুল। শিবিরের সূত্র বলছে, দুএকমাস পর থেকেই বাংলায় সর্বশক্তিতে নামবে দিল্লি। তখন দলের সামনের সারিতেই থাকাটা ভালো। অন্য অংশ বলছে, রাজ্যও চুপ থাকবে না। এখন মুকুলের বিরুদ্ধে মামলাগুলির তৎপরতা হঠাৎ কমে আছে। কিন্তু এরপর তো সেগুলিও বাড়বে। ফলে মুকুলবাবুকে ভেবেচিন্তে পা ফেলতে হচ্ছে। ছেলে শুভ্রাংশু মনেপ্রাণে তৃণমূলে ফিরতে চান বলে খবর। কিন্তু বাবার রাজনীতির বাইরে তিনি যাবেন না। এদিকে, মুকুলশিবিরের এক সূত্র হিসেব কষে দেখেছে, রাজ্যে এখন 60-70টি আসন জেতার বেশি ক্ষমতা নেই বিজেপির। সংখ্যালঘু প্রভাবিত প্রায় একশো আসন এমনিতেই হাতছাড়া। হিন্দু ভোটও তিনভাগ। তবে, দিল্লি যদি এখনই মুকুলকে উত্তরপ্রদেশ বা অন্য কোনো রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় আনে বা মন্ত্রী করে দেয়; তাহলে মুকুল ঝুঁকি নিয়ে বিজেপির হয়ে ব্যাট করতে রাজি। আপাতত তিনি ধৈর্য ধরে দেখছেন, দিল্লির নেতারা কবে “কথা রাখেন।”































































































































