প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের রাজ্যের বকেয়া টাকা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের করোনা পরিস্থিতি এবং তার মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে? তা নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেখানে ফের কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া চেয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছ থেকে মাত্র ১২৫ কোটি টাকা মিলেছে।
কিন্তু সবখাত মিলিয়ে ৫৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
সেগুলি মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
এর মধ্যে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জিএসটি বাবদ বকেয়া রযেছে।
একইসঙ্গে কেন্দ্রের কাছে আরও ভেন্টিলেটর এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন নাসাল ক্যানুয়ালস চেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯-এর লড়াইয়ে রাজ্য সরকার আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি ও সরকারি চিহ্নিত বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা বিনামূল্যে করা হচ্ছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তাও করা হচ্ছে প্রত্যেককে, জানিয়েছেন তিনি।
করোনা চিকিৎসার জন্য সেফ এর পাশাপাশি হোম, কোয়ারেন্টাইন, অনলাইন সাইকোলজিকাল কাউন্সেলিং, টেলি মেডিসিন, কোভিড ওয়ারিয়রস ক্লাব-সহ রাজ্য যেসব পদক্ষেপগুলি করেছে তার সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তারিত জানান মমতা।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে সাপ্তাহিক লকডাউন, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার মতো বিষয়গুলিও মোদিকে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলায় বিনামূল্যে রেশন, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদানের কথাও জানান মমতা। গত ৫ মাসে কীভাবে আশা কর্মী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কর্মীর রাজ্যের প্রায় প্রতিটি বাড়ি গিয়ে করোনা সংক্রমণের খোঁজ নিয়ে এসে সংক্রমণ রুখছেন সেই তথ্যও প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন তিনি।






























































































































