ঘড়িরকাঁটা ধরে দিল্লি থেকে যজ্ঞস্থলে প্রধানমন্ত্রী

0
2

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজো। অংশগ্রহণ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আগেই তাঁর সফরসূচি দেওয়া হয়েছিল।একেবারে ঘড়ির কাঁটা ধরে সেই সময় ধরে এগিয়ে চলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সব ক্ষেত্রেই তিনি সময় পৌঁছন। কিন্তু এক্ষেত্রে শুভ মুহূর্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই যে সূচি দেওয়া হয়েছিল, সেই সূচি মেনেই দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিমান ওড়ে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। লখনউতে পৌঁছয় ১০:৩৫ মিনিটে। সেখান থেকে চপারে ঠিক সাড়ে এগারোটায় অযোধ্যায় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখানকার সাকেত ময়দানের হেলিপ্যাডে নামেন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সামাজিক দূরত্ব মেনেই হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানান রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী।

ধুতি এবং হলুদ সিল্কের পাঞ্জাবিতে সেজে একেবারে অন্য বেশে হাজির হন নরেন্দ্র মোদি। বরাবরই তিনি সঠিক পোশাক নির্বাচনে কৃতিত্বের দাবি রাখেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেখান থেকেই সড়কপথে হনুমানগড়ি মন্দিরে যান নরেন্দ্র মোদি। হনুমানজির আরতি করেন তিনি। দক্ষিণাও দেন। সঙ্গে ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এরপর যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে মন্দির পরিক্রমা করেন মোদি।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মাথায় পাগড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়, দেওয়া হয় উত্তরীয়।
ঠিক ১০ মিনিট হনুমানগড়ি মন্দিরে পুজো সেরে রাম মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে প্রথমে রামলালার পুজো করেন নরেন্দ্র মোদি। ঘড়ির কাঁটা ধরে ঠিক ১১.৫৯মিনিটে রামলালার পুজো করেন নরেন্দ্র মোদি। ষষ্টাঙ্গে রামলালাকে প্রণাম করে ফুল-মালা দিয়ে রামলালার আরাধনা করেন। পুজোর পরে মন্দির প্রদক্ষিণ করেন। এরপর মন্দির চত্বরে একটি পারিজাত বৃক্ষরোপণ করার পর যজ্ঞস্থলে যান প্রধানমন্ত্রী। একেবারে ঘড়ির কাঁটা মেনে চলে তাঁর সফর।