১১৯ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম। ভক্ত সমাগম ছাড়াই দুর্গাপুজো হবে বেলুড় মঠে। নিয়ম, আচার মেনে পুজো হবে ঠিকই, কিন্তু ভক্ত সমাগমের অনুমতি থাকবে না। অতিমারি পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ জি মহারাজ।
১৯০১ সালে সারদা দেবীর অনুমতি নিয়ে বেলুড় মঠে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ। মা সারদা অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই পুজোয়। সেই সময় দুর্গাপুজো হত হাতেগোনা জমিদার বা অভিজাত বাড়িতে। কিন্তু আম বাঙালির সেখানে প্রবেশাধিকার ছিল না। তাই সবাইকে দুর্গাপুজোয় আনন্দে সামিল করতে এই পুজোর সূচনা করেন স্বামীজি। সবার জন্য এই দুর্গাপুজো ছিল উন্মুক্ত। বেলুড়মঠে প্রচলন করা হয় কুমারী পুজোরও।
কিন্তু মারণ ভাইরাস সংক্রমণের জেরে এবার সব নিয়মই পাল্টে যাচ্ছে। এখন বেলুড়মঠে দর্শনের সময় বদলে দেওয়া হয়েছে। সকালে দু’ঘণ্টা এবং বিকেলে দু’ঘণ্টা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। সন্ধ্যারতিতে অংশ নিতে পারছেন না ভক্তরা। যে ভোগ-প্রসাদ বিলির ব্যবস্থা ছিল তাও আপাতত বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে এবার দুর্গাপুজোতেও সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ হল বেলুড়মঠের দরজা।