এবার কোনও বিক্রেতা লোক ঠকালেই হবে ন্যূনতম ১ লক্ষ টাকার জরিমানা। সেইসঙ্গে কমপক্ষে ৬ মাসের জেল।
আজ সোমবার থেকেই দেশজুড়ে কার্যকর হচ্ছে নতুন গ্রাহক সুরক্ষা আইন। সেই আইনেই বলা হয়েছে এই শাস্তির কথা৷
৩৪ বছরের পুরনো আইন সরিয়ে আরও কড়া আইন কার্যকর করতেই নতুন এই বিধি৷ এই আইনে বলা হয়েছে :
◾অনলাইন ও টেলিশপিংয়ের ক্ষেত্রেও এই আইন কার্যকর হবে।
◾ বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে৷
◾বিজ্ঞাপনে থাকা সেলিব্রেটিদেরও শাস্তি হতে পারে৷
◾মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর প্রচারের অপরাধে ২ বছরের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।
◾বারবার একই কাজ করলে আর্থিক জরিমানা হতে পারে ৫০ লক্ষ টাকা এবং ৫ বছরের জেল।
◾নতুন আইনে ‘সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি’ নামে নতুন একটি অথরিটি তৈরি হচ্ছে।
◾গ্রাহক সুরক্ষায় জোর দিতেই নতুন আইনে কেন্দ্রীয় সরকার ওই অথরিটি গড়েছে৷
◾এই অথরিটি DG পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে তদন্ত করবে৷
◾নতুন আইনে মধ্যস্থতারও ব্যবস্থা রয়েছে।
◾গ্রাহক এবং প্রস্তুতকারক নিজেদের মধ্যে বসে ক্ষতিপূরণের বোঝাপড়া করতে পারবেন।
◾মধ্যস্থতা না চাইলে অভিযোগ জানানো যাবে জেলা, রাজ্য ও জাতীয়স্তরের ৩টি কমিশনে।
◾অসাধু ব্যবসা, ত্রুটিপূর্ণ পণ্য সরবরাহ, বেশি দাম নেওয়া, শরীরের ক্ষতি করতে পারে এমন সামগ্রী বিক্রির মতো নানা বিষয়ে গ্রাহকরা অভিযোগ জানাতে পারবেন।
◾ভেজাল জিনিস বিক্রি করে ধরা পড়লে ১ এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের জেল হতে পারে,
◾কোনও পণ্য যদি গ্রাহকের মারাত্মক ক্ষতি করে, তাহলে বাড়তে পারে সাজার পরিমাণ। হতে পারে ৭ বছরের জেল ও ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা।
◾কোনও ক্ষতিকর পণ্যের কারণে গ্রাহকের মৃত্যু হলে প্রস্তুতকারকের হতে পারে যাবজ্জীবন সাজা। সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা।