পরস্পরবিরোধী সিদ্ধান্ত, পাইলটকে নিয়ে দো-টানায় হাই কম্যান্ড

0
2

রাজস্থানের রাজনৈতিক ডামাডোলে এবার নতুন মাত্রা৷

একইসঙ্গে এটাও স্পষ্ট হয়েছে, শচীন পাইলটকে নিয়ে জবরদস্ত বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে কংগ্রেস হাই কম্যান্ডে৷ একদিকে বুধবার পাইলট এবং তাঁর অনুগামী বিধায়কদের
বিধায়ক পদ খারিজের নোটিস দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে রাজস্থান কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক অবিনাশ পান্ডে বুধবারই বলেছেন, “তরুণ গুর্জর নেতার জন্য কংগ্রেসের দরজা সবসময় খোলা৷” এআইসিসি সূত্রের খবর, পাইলট ফিরতে চাইলে তাঁকে সাদরে গ্রহণ করা হবে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এ ধরনের দু’মুখো নীতি নিয়ে হাই কম্যান্ড বোঝালো, পাইলটকে নিয়ে তারা এখন কিছুটা ভীত৷

আসলে, পাইলট নিজেই এদিন সকালে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দিয়ে কংগ্রেসকে বিভ্রান্ত করেছেন৷ তিনি বলেছেন, ” বিজেপিতে কখনই যোগ দিচ্ছি না৷ আমি এখনও কংগ্রেস সদস্য। বিজেপির সঙ্গে নাম জুড়ে দিয়ে আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নজরে আমাকে ছোট দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” পাইলট এই বিবৃতি দিয়ে এআইসিসিকে রীতিমতো অসহায় করে দিয়েছেন। গতকালও যে সব কংগ্রেস নেতা পাইলটকে বিজেপির ঘুঁটি বলে তোপ দেগেছিলেন, সেই নেতারা পাইলটের এই বিবৃতি দেখে এখন বেকায়দায় পড়ে ঢোঁক গিলছেন৷ বেকায়দায় যে পড়েছে, তা বোঝা গিয়েছে অবিনাশ পান্ডের বার্তায়৷

ওদিকে, আরও বড় খেলায় নেমে পড়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট৷ অবশ্য হাই কম্যান্ডের সবুজ সংকেত ছাড়া, স্পর্শকাতর এই ‘খেলা’য় নামা কিছুতেই সম্ভব হতো না গেহলটের৷

রাজস্থান কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক অবিনাশ পান্ডে বুধবার বলেছেন, শচীন পাইলট এবং অন্যান্য সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও পরিষদীয় দলের বৈঠকে গরহাজির থেকে হুইপ অমান্য করেছেন৷ সে কারনেই দলের তরফে পাইলট-সহ অনুপস্থিত সবাইকেই শো কজ করা হয়েছে৷

এখানেই শেষ নয়৷ দলের তরফে এই শো-কজের কথা, হুইপ অমান্য করার কথা এদিনই জানানো হয়েছে বিধানসভার স্পিকারকেও৷ আর তারই জেরে রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার বুধবারই শোকজ নোটিশ দিয়েছেন শচীন পাইলট এবং দলের আরও ১৮ জন সদস্যকে৷ হুমকির সুরেই ওই শো-কজে বলা হয়েছে, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উত্তর পাওয়া না গেলে পাইলট-সহ ১৮ জন সদস্যের বিধায়ক পদ খারিজ করা হবে৷