লাদাখ সীমান্তে যে বিদেশি অ্যাটাক কপ্টারগুলি চিনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি রেখেছে ভারতীয় বায়ুসেনা, তাদের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রুদ্র নামের কপ্টারের শক্তি চিনের জেট-১৯ অ্যাটাক কপ্টারের থেকেও অনেক বেশি।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন , সশস্ত্র রুদ্র কপ্টারের শক্তি ও প্রযুক্তি মার্কিন অ্যাপাচেকেও হার মানাবে।
হ্যালের তৈরি রুদ্র অ্যাটাক কপ্টার আকাশ থেকে মাটিতে মিসাইল ছুঁড়তে পারে নিঁখুত লক্ষ্যে। অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ওয়ারফেয়ার, আকাশযুদ্ধের জন্যও ব্যবহার করা হয় রুদ্র কপ্টারকে।
রুদ্র কপ্টারের দুটি ভ্যারিয়ান্ট আছে। মার্ক-৩ ও মার্ক-৪। মার্ক-৪ ভ্যারিয়ান্টে ২০ এমএম টারেট গান, বেলজিয়ান ৭০ এমএম রকেট, এমবিডিএ এয়ার-টু-এয়ার এবং এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল সিস্টেম রয়েছে। এছাড়া রুদ্র কপ্টারের মার্ক-৪ ভ্যারিয়ান্ট থেকে ছোড়া যায় হেলিনা মিসাইল।
হ্যালের বানানো রুদ্র অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টারের এই মার্ক-৪ ভ্যারিয়ান্টই ভারতীয় বায়ুসেনা ব্যবহার করছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন , চিনের তৈরি হারবিন জেড-১৯ কপ্টারের থেকেও বেশি শক্তিশালী স্বদেশী রুদ্র কপ্টার।
এই কপ্টারের প্রোটোটাইপ তৈরি হয় ২০০৭ সালে। এই সময় থেকে ২০১১ সালের নভেম্বরে পর্যন্ত ধাপে ধাপে অস্ত্রসাজে সাজিয়ে তোলা হয় রুদ্র কপ্টারকে। ১৫.৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪.৯ মিটার উচ্চতার রুদ্র কপ্টারের ওজন সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোগ্রাম। ২৬০০ কিলোগ্রাম ওজন বইতে পারে এই কপ্টার।
রুদ্র মার্ক-৪ ভ্যারিয়ান্ট ডবল ইঞ্জিন অ্যাটাক কপ্টার। সিয়াচেনের মতো দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকেও উড়তে ও অবতরণ করতে তাঁর কোনও অসুবিধা হয়না।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে,
নাইট ভিশন গুগল (NVG) ককপিটে রাতের অন্ধকারেও টার্গেট ঠিক করতে পারেন পাইলট। এতে রয়েছে ডপলার নেভিগেশন, রেডিও অল্টিমিটার, ইলেকট্রো অপটিক পড, হেলমেট-মাউন্টিং সাইট ও হেলমেট-পয়েন্টিং সিস্টেম। এই কপ্টারের নেক্সটার টিএইচএল-২০ চিন মাউন্টেট গান থেকে প্রতি মিনিটে ৭৫০ রাউন্ড ফায়ার করতে সক্ষম । যার পাল্লা প্রায় ২০০০ মিটার।
আপাতত লাদাখ সীমান্তে চিনকে টেক্কা দিতে এই রুদ্র-র ওপর ভরসা রেখেছে ভারতীয় বায়ুসেনা ।