শাশুড়ির পছন্দমতো রুটি বানাতে পারেনি পুত্রবধূ। সেই অপরাধে পুত্রবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শাশুড়ির বিরুদ্ধে। বছর ২৪ এর ওই তরুণী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনায় ইন্ধন জুগিয়েছে শ্বশুর এবং স্বামী।
ঘটনা সোমবার বিকেলের। মধ্যমগ্রামের চণ্ডীগড় রোহন্ডা পঞ্চায়েতের বিড়পুর এলাকায় বিয়ে হয় পারভিনা খাতুনের। ওই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা রকম ভাবে অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির পরিবার। এদিন রুটি তৈরি করা নিয়ে শাশুড়ি তাঁকে কটূক্তি করে। এরপর গায়ে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই সময় স্বামী এবং শ্বশুর বাড়িতে থাকলেও তাঁরা বাঁচাতে আসেনি।
দগ্ধ অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে ফেলে রাখা হয় পারভিনাকে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন ওই তরুণী। স্থানীয়রা সন্ধের পর বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর খবর দেওয়া হয় তরুণী বাপের বাড়িতে। ঘটনা জানাজানি হতেই বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুর-শাশুড়ি। সেখানেই রাত দুটো পনেরো নাগাদ মারা যান পারভিনা ও তাঁর গর্ভের ৮ মাসের সন্তান।
মৃতার পরিবারের তরফে মধ্যমগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার বাবা ইমান আলি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি জানান, তাঁর জামাই স্বামী শেখ সালাউদ্দিন একটি মোটরবাইক কিনে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল তাঁদের। টাকাও দাবি করছিল শ্বশুরবাড়ির কাছে। টাকা বা বাইক দিতে পারায় মেয়েকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত সে।